1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টানা নৌ ধর্মঘটে সারা দেশে অচলাবস্থা

১৫ মে ২০১০

টানা সাতদিনের নৌ ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে গোটা নৌ পরিবহন ব্যবস্থা, এই খবরটি অনেক পত্রিকাতে গুরুত্ব পেয়েছে৷ ট্যাক্সি চালকদের ওপর পুলিশের হামলার খবরটি এসেছে প্রায় সব দৈনিকে৷ এদিকে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিচ্ছেন জিএম কাদের৷

https://p.dw.com/p/NOaQ
চলছে না নৌকা, লঞ্চছবি: AP

নৌ ধর্মঘটে অচল একের পর এক বন্দর

আজ পত্রিকাগুলো ভিন্ন ভিন্ন খবরকে মূল শিরোনাম করেছে৷ তবে তার মধ্যে যে খবরটি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে তা হলো নৌ ধর্মঘটের খবরটি৷ সমকালের মূল শিরোনাম হলো, মন্ত্রীর নরম গরম কৌশল৷ অর্থাৎ ধর্মঘট ঠেকাতে নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খান একদিকে ধর্মঘটিদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন, অন্যদিকে তিনি বলেছেন, ধর্মঘটি শ্রমিকরা ক্ষমা না চাইলে তাঁদের পেশাগত লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে৷ একই প্রসঙ্গে ইত্তেফাকের খবর হল, ধর্মঘটের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং আশুগঞ্জ নদী বন্দর৷ উল্লেখ্য, বেতনভাতা বাড়ানো সহ ২২ দফা দাবিতে গত ৭ই মে ধর্মঘট ডাকে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন৷

ঢাকায় ট্যাক্সি চালকদের লাঠিপেটা

দৈনিক মানবজমিনের প্রধান খবরে বলা হয়েছে, গাড়ি রিকুইজিশনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় পুলিশ প্রথম দফায় ট্যাক্সিক্যাব চালকদের পেটায়৷ প্রকাশ্য রাস্তায় নির্দয়ভাবে পেটানোর একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা এক ট্যাক্সিক্যাব চালককে নগ্ন করে ফেলে৷ এসময় অন্যান্য চালকরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ আরও আটজনকে আটক করে৷ গতকাল শুক্রবার ট্যাক্সি চালকরা তাঁদের সহকর্মীদের মুক্তির দাবিতে তেজগাঁও থানা ঘেরাও করতে যান৷ এসময় পুলিশ তাঁদের ফের লাঠিপেটা করে৷ পুলিশের পিটুনিতে ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে৷ এদিকে এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷

জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব পাচ্ছেন কাদের

সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব তাঁর ছোট ভাই জিএম কাদেরের কাঁধে তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ দৈনিক সমকালে এই বিষয়ের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার এরশাদ রংপুরে দলীয় বৈঠকে জানিয়েছেন যে তাঁর অবর্তমানে জিএম কাদের দায়িত্ব পালন করবেন৷ জিএম কাদের বর্তমানে মহাজোট সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই এরশাদের শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো যাচ্ছে না৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়