1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপন্ন রোগীদের জীবন

ভল্ফগাং ডিক/আরবি২৮ এপ্রিল ২০১৪

বিশ্বব্যাপী জার্মান স্বাস্থ্যব্যবস্থার সুনাম থাকলেও এখন এটা টলমল হয়ে পড়েছে৷ বিশাল খরচের ভার ও কঠোর প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে গিয়ে বেআইনি কার্যকলাপের দিকেও ঝুঁকে পড়ছে কিছু ক্লিনিক৷

https://p.dw.com/p/1Bor7
ছবি: Krankenhaus Plettenberg

মৃতব্যক্তির দেহ থেকে হার্টের পেসমেকার অন্য কোনো রোগীর দেহে স্থাপন করা যেতে পারে৷ এতে পেসমেকার স্থাপনের খরচ অর্ধেক হয়ে যায়৷ বিমাসংস্থাগুলির এক্ষেত্রে খুশি হওয়ার কথা৷ কিন্তু তারা এইভাবে খরচ বাঁচানোর পক্ষপাতী নয়৷ তবে বিশেষজ্ঞরা মনে এটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র৷ অদূর ভবিষ্যতে এই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে সংশ্লিষ্টদের৷ প্রতিবছর ২০০,০০০ বিদেশি রোগীর চিকিৎসা করা হয় জার্মান ক্লিনিকগুলিতে৷ তাঁরাও নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন৷

Deutschland Fachkräfte Fachkräftemangel im Krankenhaus Krankenschwester
ছবি: picture-alliance/dpa

অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে

‘‘ক্লিনিকগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে৷'' জানান এসেনের অর্থনৈতিক ইন্সটিটিউট, আরডাব্লিউআই-এর বোরিস আইগুরৎস্কি৷

জার্মানির প্রতি দুটির মধ্যে একটি ক্লিনিক লোকসানে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্মুখীন হচ্ছে৷ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই প্রবণতা৷ অনেক ক্লিনিক একেবারে বন্ধও হয়ে গিয়েছে৷ বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ অপর্যাপ্ত চিকিৎসার মুখে পড়ছে৷ কাছাকাছি ক্লিনিক না থাকায় কোনো কোনো এলাকার মানুষজনকে এমন সব ক্লিনিকে যেতে হয়, যেখানে যেতে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় লেগে যায়৷ হার্ট অ্যাটাকের মতো অসুখবিসুখ হলে এত দূরে যেতে যেতে মৃত্যুর কবলে পড়তে হয় রোগীদের৷ এছাড়া এ সব ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যাও কম থাকে৷

Illegal und dazu noch krank
ছবি: picture-alliance/dpa

অপ্রয়োজনীয় অপারেশন

আর্থিক দিক দিয়ে টিকে থাকার জন্য কিছু ক্লিনিক রোগীদের এমন কিছু অপারেশনের পরামর্শ দেন, যেসব অপ্রয়োজনীয় ও খরচসাপেক্ষ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই দুরবস্থার কথা স্বীকার করেন না৷ কিন্তু অনেক ডাক্তার এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানিয়েছেন৷ ডাক্তারদের অনেক সময় চাপ দেওয়া হয় ক্লিনিকের লাভের জন্য সচেষ্ট হতে৷ এই নির্দেশ মানা না হলে তাঁদের শাখা বন্ধ হয়ে যাবে এবং সেই সাথে কাজটিও হারাতে হবে৷ এই রকম হুমকিও দেওয়া হয়৷

এই অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় অপারেশনের সংখ্যা বাড়ছে৷ সিজারিয়ান করে সন্তান প্রসবের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ধাত্রীর সাহায্যে বাড়িতে সন্তান প্রসব করানো হলে ৮০০ ইউরো খরচ হয়৷ ক্লিনিকে একটি স্বাভাবিক প্রসব হলে বিমা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া যায় ২,০০০ ইউরো৷ সিজারিয়ান করলে ক্লিনিকটি পায় ৩,০০০ ইউরো৷ নিতম্ব ও হাঁটুর অপারেশনও বেশ লোভনীয়৷ এইসব অপারেশনের সংখ্যার দিক দিয়ে ওইসিডিভুক্ত দেশগুলির মধ্যে জার্মানি দ্বিতীয় স্থানে৷

Hightech im OP-Saal
ছবি: IRDC Leipzig

প্রয়োজন আরেকটি মতামত

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ফল্কার পেন্টার বলেন, ‘‘এইরকম অপারেশন করার পরামর্শ দেওয়া হলে চেষ্টা করতে হবে দ্বিতীয় আরেকটি মতামত নেওয়ার৷''

এই ধরনের অপারেশন ক্ষতিকর নয়৷ কিন্তু এতে অহেতুক ঝুঁকি নেওয়া হয়৷ অনেক সময় চিকিৎসায় ভুলও হয়ে যায়৷ এছাড়া বিষয়টি আরো মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়, যখন দালালরা বিদেশ থেকে রোগীদের এনে জার্মান ক্লিনিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে৷ অনেক ক্ষেত্রে বিষয়টি আইন আদালত পর্যন্তও গড়ায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য