1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুইটারেও এখন রাজনীতি

১৬ আগস্ট ২০১০

ইন্টারনেটে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে৷ কোটি কোটি মানুষের কাছে কোন তথ্য পৌছে দিতে এসব সাইট বেশ কাজের৷ তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও এসব ওয়েবসাইটকে কাজে লাগাচ্ছে অনেক দেশ, যেমন উত্তর কোরিয়া৷

https://p.dw.com/p/OoOg
Twitter
টুইটারের লোগোছবি: twitter.com

সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে টুইটার এখন বেশ জনপ্রিয়৷ এটি ব্লগের পাশাপাশি পরিচিত ও অপরিচিতজনদের খবরাখবর জানতেও কাজে লাগে৷ উত্তর কোরিয়ার কম্যুনিস্ট সরকার সম্প্রতি টুইটারে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এবং সেখানে তাদের সরকারের প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এমন একটি খবর পাওয়া গেছে৷ জানা গেছে, আউরিমিনজোক নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে পিয়ংইয়ং এর পক্ষ থেকে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে৷ এতে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য প্রচার করছে উত্তর কোরিয়ার সরকার৷ দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধ জাহাজ ডুবানোর জন্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে টুইটারের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সমালোচনা করা হয়েছে৷ এই অ্যাকাউন্ট যারা অনুসরণ করছে তারাও কোরিয়ান ভাষায় বিভিন্ন ব্যঙ্গ মন্তব্য করছে সউল এবং ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে৷ এর আগে গত মাসে ইউটিউবে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয় কিম জং ইলের সরকারের পক্ষ থেকে৷ সেখানেও পিয়ং ইয়ং তাদের পক্ষে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে৷

তবে কেবল উত্তর কোরিয়া নয়, বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দও এখন এসব সামাজিক নেটয়ার্কের সহায়তা নিচ্ছেন৷ এইতো গত শুক্রবার ছিল কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর ৮৪ তম জন্মদিন৷ টুইটারের মাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট উগো চাভেজ৷ অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের কী কথা হয়েছে সেটাও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি জানিয়েছেন টুইটারের মাধ্যমে৷ তাই সামাজিক নেটওয়ার্ক এখন জড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নীতি নির্ধারণী কর্মকান্ডেও৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়