1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুইটার এনিহয়্যার, এখন অন্য সাইটে দেখা যাবে তাকে

১৬ মার্চ ২০১০

টুইটার তার সেবায় যোগ করেছে এনিহয়্যার ফিচার৷ এখন অন্য যেকোন সাইটে যোগ করা যাবে টুইটারের ফিড৷ ফলে, টুইটারে প্রবেশ না করেও জানা যাবে পছন্দের কিংবা প্রয়োজনীয় নানা তথ্য৷ ইতিমধ্যেই ইউটিউব এবং বিং নাকি লুফে নিয়েছে এই সুযোগ৷

https://p.dw.com/p/MUDx
ফাইল ফটোছবি: twitter.com

ধরুন ডয়চে ভেলের কোন একজন প্রতিবেদকের প্রতিবেদন খুব পছন্দ আপনার, চাইছেন তাঁর খোঁজখবর নিয়মিত রাখতে কিংবা তাঁর প্রতিবেদনগুলোর দিকে নিয়মিত চোখ রাখতে৷ অথবা নির্দিষ্ট একটি সংবাদ সংস্থার ভিডিও রিপোর্টই নিয়মিত পেতে চান আপনি৷ আপনার এই পছন্দের বিষয়গুলোকে সহজ করে দিচ্ছে টুইটার৷ এখন থেকে নিজের পছন্দের প্রতিবেদক বা ভিডিও কিংবা অন্য যেকোন কিছুরই টুইটার লিঙ্কটি বেছে নিয়ে যোগ করে দিন ইয়াহু কিংবা অন্য কোন ই-মেইল তালিকার মধ্যে৷ ফলে মেইল চেকের সময়েই আপনি টুইটার ফিডও দেখতে পাবেন মনিটরের একপাশে৷

একইভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও যোগ করা যাবে টুইটার বক্স৷ যেখানে প্রদর্শিত হবে সাইটটির সঙ্গে সম্পর্কিত কিংবা নির্ধারণ করে দেয়া যেকোন তথ্য৷

টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান উইলিয়ামস সোমবার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এটি যেকোন ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী বাড়াতে যেমন সাহায়তা করবে তেমনি টুইটারের মাধ্যমে সাইট সম্পর্কে ভক্তদের আলোচনাও বাড়বে৷

ইতিমধ্যে বিং, ইউটিউব, অ্যামাজন এবং ইয়াহুর মতো ওয়েবসাইটগুলোতে যোগ করা হয়েছে টুইটারের ফিচার @এনিহয়্যার৷ এই প্রসঙ্গে ইয়াহু কর্মকর্তা কোডি সিমস জানিয়েছেন, @এনিহয়্যারকে সমর্থন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত৷ এখন থেকে ইয়াহুর ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টে টুইটারের তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন৷ একইসঙ্গে চাইলে ইয়াহু-তে থাকা তাদের কন্টেন্ট টুইটার ফিডে শেয়ার করতেও পারবেন৷

তবে টুইটার @এনিহয়্যার এর ব্যবহার নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে৷ বিশেষত এর ব্যবহার প্রক্রিয়া এখনো খুব পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে না৷ আর তাই খানিকটা বিভ্রান্ত টুইটার ব্যবহারকারীরা, খানিকটা বিভ্রান্ত সংবাদমাধ্যমগুলোও৷

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার৷ এরপর ইরানের নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাইটটির ব্যবহার নজর কাড়ে অনেকের৷ ব্যাপকহারে বাড়ে এর জনপ্রিয়তাও৷ টুইটারকে কিন্তু অনেকেই বলেন এ যুগের টেলিগ্রাফ, কারণ টেলিগ্রাফের মতোই টুইটারে শব্দ সংখ্যা সীমিত, একবারে সর্বোচ্চ ১৪০টি শব্দ লেখা যায় সেখানে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক