1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টু-জি স্পেকট্রাম তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বিরোধী পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে টু-জি স্পেকট্রাম তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদে পেশ করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়৷

https://p.dw.com/p/10Oqi
অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ছবি: AP

অবশেষে টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ কমিটিতে থাকবেন চেয়ারম্যানসহ ৩০ জন সদস্য৷ এর মধ্যে ২০ জন লোকসভার এবং ১০ জন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার৷ কমিটিতে থাকবেন কংগ্রেসের মোট ১১ জন, বিজেপির ৬ জন এবং অন্যান্য দলের ১৩ জন৷ চেয়ারম্যান হবেন রীতি অনুযায়ী শাসক দলের সাংসদ৷ কমিটি ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টেলিকম নীতি পদ্ধতি ও তার রূপায়ণ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষের দিকে৷ প্রস্তাব পেশ করে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন অচল করাটা জনগণের সঙ্গে কার্যত বিশ্বাসঘাতকতা৷ যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি গঠনে সরকারের আপত্তির পেছনে কোন জেদ ছিলনা৷ যেহেতু টু-জি স্পেকট্রাম নিয়ে বিভিন্ন এজেন্সি তদন্ত করছেন, তাই জেপিসি গঠনের দাবি অযৌক্তিক, এটাই ছিল সরকারের মনোভাব৷

বিতর্কে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে শুরু হয় দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপের পালা৷ শুরু হয় সভায় তীব্র বাদানুবাদ৷ টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে সরকারের লোকসানের পরিমাণ শূন্য বলে টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বালের বয়ানকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, যদি তাই হয়, তাহলে প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী রাজা জেলে কেন? টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বাল পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, রিপোর্ট অনুসারে বিজেপি সরকারের আমলে স্পেকট্রাম বণ্টনে ক্ষতি হয়েছিল ১২,২১৪ কোটি টাকা৷ তার কী হবে? বিতর্ক মূল প্রস্তাব ছাড়িয়ে অন্যদিকে মোড় নিলে স্পিকার তাতে বাধা দিয়ে বলেন, বিতর্ক যেন প্রস্তাবের মধ্যেই রাখা হয়৷ এর আগে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলেন, সরকারের টেলিকম নীতিতে কোন ত্র্রুটি ছিল না, ত্র্রুটি যদি থেকে থাকে সেটা তার রূপায়ণে৷ নীতি রূপায়ণের পন্থাপদ্ধতির ত্রুটিবিচ্যুতি দূর করাই জেপিসি গঠনের উদ্দেশ্য৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন