1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেক্সাসে হামলা নিয়ে সরব সোশ্যাল মিডিয়া

৪ মে ২০১৫

ফের শিরোনামে মহানবীর কার্টুন৷ এবার ঘটনাস্থল অ্যামেরিকার টেক্সাস রাজ্যের গারল্যান্ড শহর৷ দুই হামলাকারীকে হত্যা করেছে পুলিশ৷ মত প্রকাশের অধিকার ও ধর্মীয় ভাবাবেগের মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1FJhB
USA Texas Mohammed Karikaturen Anschlag
ছবি: Reuters/Mike Stone

গারল্যান্ড শহরে ইসলাম ধর্মের মহানবী হজরত মহম্মদের কার্টুন সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা যে ঝুঁকিমুক্ত হবে না, তা জানাই ছিল৷ ফলে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও হামলাকারীরা দমে যায়নি৷

প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডস-এর বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতা খেয়ার্ট ভিল্ডার্স৷ তিনি টুইট করে জানান, যে নিরাপত্তা কর্মীরা আরও বড় বিপর্যয় প্রতিরোধ করতে পেরেছেন৷

একদিকে শিল্পকলা ও মত প্রকাশের অধিকার, অন্যদিকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত ও তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে ডেনমার্কের কার্টুন কাণ্ডের পর থেকেই৷ প্রতিক্রিয়া হিসেবে হিংসা কতটা গ্রহণযোগ্য, এই প্রশ্ন তুলছে অসংখ্য মানুষ৷ যেমন হোয়াকিন গালভেস লিখেছেন, ‘‘হিংসাত্মক কার্যকলাপের চেয়ে কার্টুন যদি তোমাকে বেশি আঘাত করে, তাহলে তুমিই হলে সমস্যা৷''

ব্র্যান্ডন ডার্বি মনে করেন, ‘‘অনেকে বলছে শিল্পই এই হামলায় প্ররোচনা দিয়েছে৷ না, আমি বলবো লাগাতার হামলাই শিল্পকে প্ররোচিত করেছে৷''

মাইক লিখেছেন, আহাম্মকরা শিল্প সৃষ্টির অধিকার খর্ব করতে পারে না৷

ধর্মীয় ভাবাবেগ যদি হিংসার জন্ম দেয়, সেটা কি সেই ধর্মের দুর্বলতা তুলে ধরে না? টুইটারে এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে৷ যেমন গ্যারি কার্লো লিখেছেন, ‘‘তোমার ধর্ম কতটা দুর্বল, যে কেউ ছবি আঁকলে তার বৈধতা হুমকির মুখে পড়ে?''

কোনো এক পক্ষকে দোষারোপ না করে পারস্পরিক ঘৃণা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন লিন্ডা সারসুর৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এমন ঘৃণা হতে দিও না৷ সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘৃণার মোকাবিলা করো৷''

উইটিচলাইফসার নামের এক ব্যবহারকারী ক্ষোভ দেখিয়ে লিখেছেন, তিনি টেক্সাসে হামলার নিন্দা করা সত্ত্বেও ইসলাম-বিদ্বেষীরা তাঁকে অ্যামেরিকা ছেড়ে চলে গিয়ে আত্মহত্যা করতে বলছে৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য