1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শীতকালীন অলিম্পিক

২০ জানুয়ারি ২০১৪

ক্রিকেটের দেশ ভারতে অন্য খেলাগুলোর দুরবস্থার কথা সবাই জানেন৷ কিন্তু অলিম্পিকে অংশ নিতে গিয়েও কোনো ভারতীয় ক্রীড়াবিদকে বিদেশিদের সরঞ্জাম ধার নিতে হয় – এও কী সম্ভব? এমনটিই জানালেন শিবা কেশবন৷

https://p.dw.com/p/1At41
শিবা কেশবনছবি: Bongarts/Getty Images

সোচিতে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেবেন শিবা কেশবন৷ এবার ভারত থেকে তিনজন ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছেন৷ তিনজনই লুগার৷ এ খেলায় ক্রীড়াবিদদের বরফে ছুটে চলা, লাফিয়ে ওপর থেকে নীচে নামার দৃশ্য দেখে পুলকিত হন অনেকেই৷ কেশবন এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন শীতকালীন অলিম্পিকে৷ এশিয়া অঞ্চলে কিছু্ সাফল্যও পেয়েছেন৷ গত মাসেই নাগানোয় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে জিতেছেন রূপা৷ সোনা জিততে পারেননি৷ এই সাফল্যের পেছনের কাহিনি শুনলে তাঁর জেতা রৌপ্য পদককে সোনার চেয়েও দামি মনে হবে অনেকের৷

হিমালয়ের পাদদেশে জন্ম নেয়া কেশবনের বাবা ভারতীয় বাবা আর মা ইটালির৷ লুগার হয়েছেন ১৬ বছর আগে৷ এই খেলায় দেশে দক্ষতা প্রমাণ করার পরই গিয়েছিলেন শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নিতে৷ সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা৷ জাপানের নাগানোতেই সেবার বসেছিল শীতকালীন অলিম্পিকের আসর৷ অনেক কষ্ট করে অংশগ্রহণের সুযোগ আদায় করলেও আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া সামগ্রী পাননি৷ কোরিয়ার এক প্রতিযোগীর কাছ থেকে একটা ‘স্লেড' ধার করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়েছিল তাঁকে৷

Shiva Keshavan
গত শীতকালীন অলিম্পিকের ছবি এটিছবি: picture-alliance/dpa

১৯৯৮ থেকে ২০১৪ – এই ১৬ বছরে কেশবনের বয়স হয়েছে ৩২, ক্রিকেট খেলে শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, কিন্তু ভারতের অন্য খেলা এবং অন্য খেলার খেলোয়াড়দের অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি৷ কেশবন যে খেলার সঙ্গে নিজের জীবন জড়িয়েছেন সে খেলার তো উন্নতির প্রশ্নই ওঠে না৷ ২০০২ আর ২০০৬ সালের শীতকালীন অলিম্পিকেও সরঞ্জাম ছিল না কেশবনের৷ দু'বারই ইন্টারন্যাশনাল লুগে ফেডারেশন (এফআইএল)-এর দেয়া সরঞ্জাম নিয়ে অংশ নিয়েছেন কেশবন৷ ২০১০ সালের আসরে এফআইএল-ও এগিয়ে আসেনি৷ সেবার পাঁচজন ভারতীয় আইনজীবী চাঁদা তুলে একটা ‘স্লেড' কিনে দিয়েছিলেন তাঁকে৷

এবার কেশবন সোচি শীতকালীন অলিম্পিকেও যাচ্ছেন অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে৷ ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কিছুটা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে৷ তাতে কাজ হয়নি৷ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্ট' অর্থ সংগ্রহের অভিযানে নেমেছিল৷ তাদের উদ্যোগে সংগ্রহ করা অর্থে অলিম্পিকে অংশ নেয়ার উপযুক্ত সরঞ্জাম জুটেছে৷ বাকি দুই ভারতীয় ক্রীড়াবিদের অবস্থা শোচনীয়৷ উপযুক্ত সরঞ্জাম কেনার জন্য এখনো তাঁরা সরকারি অনুদানের অপেক্ষায়৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তাই খুব হতাশা নিয়েই কেশবন বলেছেন, ‘‘ভারতে শীতকালীন খেলাধুলার জন্য সহায়তা পাওয়া যায় না৷ অনেক গ্রিষ্মকালীন খেলার বেলাতেও একইরকম হতে দেখেছি৷ অথচ শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেয়ার আগে অনেক দেশের প্রতিযোগীরা চার বছর ধরে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়ে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বমানের প্রশিক্ষকও থাকেন, অথচ ভারতে আমরা কিছুই পাইনা৷''

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য