1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেলিকম কেলেঙ্কারিতে সরকারকে সুপ্রীম কোর্টের নোটিশ

১০ জানুয়ারি ২০১১

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি মামলায় সরকার ও ১১টি টেলিকম কোম্পানিকে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট এই মর্মে নোটিশ জারি করে জবাব চেয়েছেন, লাইসেন্সের শর্তাদি পালন না করার জন্য কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়নি ?

https://p.dw.com/p/zvrA
সাবেক টেলিকম মন্ত্রী এ. রাজাছবি: picture-alliance/dpa

টু-জি স্পেকট্রাম টেলিকম পরিষেবা চালু করার জন্য যে-সব শর্তে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে সাবেক টেলিকম মন্ত্রী এ. রাজার আমলে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল, তা তারা পালন করেনি৷ এই কারণে কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না, তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও ১১টি কোম্পানির কাছে তার জবাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন ভারতের সুপ্রীম কোর্ট৷ তার মধ্যে আছে, ভোডাফোন, টাটা টেলিকম, আইডিয়া ইত্যাদি৷ টেলিকম ক্ষেত্রের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ট্রাইকে মামলার অন্যতম পক্ষ করে সুপ্রীম কোর্ট জানতে চেয়েছেন, শীর্ষ টেলিকম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হওয়া সত্বেও দেড় বছরের ওপর কেন তারা হাত গুটিয়ে বসেছিল? সরকারি কোষাগারের কী পরিমাণ লোকসান হয়েছে, তা'ও খোলসা করতে হবে সরকারকে৷ উল্লেখ্য, বর্তমান টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বালের মতে, কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল সংক্ষেপে সিএজির ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার লোকসানের হিসেবে পদ্ধতিগত ভুল ছিল৷ ৷

টু-জি স্পেকট্রাম দুর্নীতি নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলার একটি করেন জনতা পার্টির প্রধান ড: সুব্রামনিয়াম স্বামী এবং অপরটি করে সেন্টার ফর পাবলিক লিটিগেশন নামে এক স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা৷ ড: স্বামী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এবিষয়ে মন্ত্রী কপিল সিব্বাল যেন কোন মন্তব্য না করেন৷ তিনি চাইছেন বেআইনিভাবে কোম্পানিগুলিকে বাঁচাতে৷ শর্ত মেনে পরিষেবা শুরু করার কথা ছিল ২০০৯-এ৷ তা না করায় লাইসেন্স বাতিল হবার কথা, কিন্তু তিনি তা না করে সামান্য জরিমানা করে লাইসেন্স বহাল রাখেন৷ এনজিওর আইনজীবি প্রশান্তভূষণ বলেন, সরকার লাইসেন্স বাতিল করতে ভয় পাচ্ছেন৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেক কোম্পানি পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়৷ তাই কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট৷ সরকারের লোকসানের পরিমাণ নিয়েও দ্বিমত আছে৷ আইনজীবি প্রশান্তভূষণের অভিযোগ, যে-সব কোম্পানি কম দামে লাইসেন্স পায়, তারা পরদিনই চড়াদামে তা বেচে দেয়৷

সিএজির হিসেব খারিজ করে সিব্বাল যে বক্তব্য রাখেন, কংগ্রেস সেই লাইন ধরে চলার পক্ষপাতি৷ কিন্তু বিরোধী বিজেপি ও বামদল তার বিরোধিতায় সোচ্চার৷ সিপিআই-এম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সিএজির রিপোর্ট যদি ভুল হয়, তাহলে পূর্বতন মন্ত্রী রাজা কেন ইস্তফা দিলেন?

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী