1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় প্রতিপক্ষ ‘বৃষ্টি’

৫ মে ২০১০

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়ী ইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড৷ শুনতে কি একটু একঘেয়ে মনে হচ্ছে? কি করা যাবে বলুন, ক্রিকেটের ছোট বিশ্বকাপের সব খবরেরই শিরোনাম বৃষ্টি৷ বৃষ্টির কারণে ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাজ পড়ছে অনেক দলের মাথায়৷

https://p.dw.com/p/NEVp
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেট উৎসবছবি: AP

আয়ারল্যান্ডের কথাই ধরুন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরুটা কিন্তু চমৎকারই করেছিল দলটি৷ এক কথায়, আয়ারল্যান্ডের বোলাররা ধস নামিয়ে দেয় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে৷ প্রথম ৪৯ রান করতেই ইংল্যান্ড খোয়ায় চার চারটি উইকেট৷ এরপর অবশ্য দলের হাল ধরেন ভালো ফর্মে থাকা অইন মর্গেন৷ আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫৫ রান করা মর্গেনের এবারের সংগ্রহ ৪৫৷ তাঁর এই রানের উপর ভিত্তি করে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় আট উইকেটে ১২০৷

টোয়েন্টি টোয়েন্টি মানে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ১২০ এমন বড় কোন স্কোর নয়৷ তাই, খানিকটা জয়ের আশা বোধহয় করেছিল আয়ারল্যান্ড, অন্তত আগের ম্যাচে সর্বনিম্ন স্কোর গড়া দলটি ব্যাট হাতে মাঠে নামে আত্মবিশ্বাস নিয়ে৷ অবশ্য সেই আত্মবিশ্বাসে প্রথম ধাক্কা মানে শূন্য রানে বিদায় নেন ওপেনার পি. স্টিয়ারলিং৷ তারপরও ৩ দশমিক তিন ওভার খেলে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১৪ রান৷

এরপরই আয়ারল্যান্ডের মাথায় বাজ ফেলতে হাজির বৃষ্টি৷ সঙ্গে ক্রিকেটের বিতর্কিত ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি৷ কিন্তু দ্বিতীয় দল যে, পাঁচ ওভারও খেলতে পারেনি! তাই বিজয়ী নয় কোন দলই৷ বরং বাধ্য হয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগির দিকেই যেতে হয় দু'দলকে৷ অবশ্য, তারপরও রানরেটে এগিয়ে থাকায় সুপার এইটে পৌঁছেছে ইংল্যান্ড৷ বিদায় আয়ারল্যান্ড৷

এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছোট বিশ্বকাপের অপর ম্যাচে জয়ী নিউজিল্যান্ড৷ এবারও বৃষ্টি এবং ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির কারণে পরাজিত জিম্বাবোয়ে৷ অবশ্য বৃষ্টি ছাড়াও তাদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিল৷ প্রথমে ব্যাটিং করে দলটির সংগ্রহ মাত্র ৮৪৷ জবাবে, নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৮ দশমিক ১ ওভারে ৩৬ রান৷ এরপরই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়৷ তবে ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির হিসেবে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড৷ তাই সাত রানে জয়ী হয়ে সুপার এইটে পৌঁছে যায় দলটি৷

কিন্তু এভাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলা আর ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি কি মন ভরাতে পারছে ক্রিকেটমোদীদের? জবাবটা আপনারাই দিন৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম