1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প বনাম ফেসবুক, গুগল

২০ এপ্রিল ২০১৭

অ্যামাজন, ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট সহ প্রায় ১৬০টি কোম্পানি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে৷ তাদের মতে, এই বৈষম্য শুধু সংবিধান বিরোধী নয়, এতে অর্থনীতির ক্ষতি হবে৷

https://p.dw.com/p/2bZ2G
ট্রাভেল ব্যান
ছবি: picture-alliance/AA/B. S. Sasmaz

নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে অ্যামেরিকায় প্রবেশ বন্ধ করতে একের পর এক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ মুসলিম-প্রধান দেশগুলির এই তালিকায় রদবদল ঘটেছে৷ কখনো সরাসরি সেই সব দেশে বসবাসরত মানুষের প্রতি ঢালাও বৈষম্য দেখাচ্ছে তার প্রশাসন, কখনো জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে আসা বিমানে ল্যাপটপ-এর মতো ডিভাইস বহনের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে৷ কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপই আইনি বাধার মুখে পড়ছে৷

বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানিগুলি ‘ট্রাভেল ব্যান'-এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়ে উঠেছে৷ ১৬০টিরও বেশি কোম্পানি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে৷ ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরোধিতার পাশাপাশি তাদের মতে, অ্যামেরিকায় প্রবেশের নিয়ম বদলানোর সরাসরি ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের নেই৷ এ সংক্রান্ত তাঁর দ্বিতীয় নির্বাহী আদেশের ফলে মার্কিন কোম্পানিগুলি ও তাদের কর্মীর ক্ষতি তো হচ্ছেই, সামগ্রিকভাবে গোটা অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ তাছাড়া এর ফলে প্রতিভাধর কর্মীদের আকর্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে, কোম্পানিগুলির ব্যয়ভার বেড়ে যাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতার বাজারে তাদের ক্ষতি হচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলি সেই সব দেশে বিনিয়োগ করতে বাধ্য হবে, যেখানে অভিবাসনের নিয়ম অনেক নমনীয়৷

এদিকে নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে অ্যামেরিকাগামী বিমানে ল্যাপটপ সহ কিছু ডিভাইস নিষিদ্ধ করার ফলে বেকায়দায় পড়েছে সে সব দেশের বিমান সংস্থা৷ চাহিদা কমে যাওয়ায় দুবাই-ভিত্তিক বিমান সংস্থা এমিরেটস অ্যামেরিকাগামী উড়ালের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

উল্লেখ্য, শুধু ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা নয়, ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য কিছু সিদ্ধান্তও মার্কিন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক বলে মনে করছে ব্যবসা-বাণিজ্য জগত৷ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসার জোরালো ইঙ্গিত দেওয়ার পর মার্কিন জ্বালানি কোম্পানিগুলিও দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ এক্সন মোবিল গত মাসে এক চিঠিতে কার্বন নির্গমন কমানোর উদ্যোগে অ্যামেরিকার শামিল হওয়ার গুরুত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে৷ এই কাঠামোর আওতায় প্রতিযোগিতার বাজারে অ্যামেরিকার থাকা জরুরি বলে এক্সন মনে করে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য