1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিত্রশক্তির অভিযানের ৭০ বছর

৬ জুন ২০১৪

নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির অভিযানের ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফ্রান্সে এসেছেন মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট৷ ইউক্রেন সংকটের কারণে ওবামা পুটিনকে এড়িয়ে চলছেন৷

https://p.dw.com/p/1CDBT
Wladimir Putin und Barack Obama am Telefon
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/dpa

উপলক্ষ্য ৭০ বছর আগের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, কিন্তু একেবারে হালের একটি ঘটনা দিনটিকে আলাদা মাত্রা দিচ্ছে৷ ইউক্রেন সংকটকে ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক এতটাই শীতল হয়ে গেছে যে, অনেকে বলছেন শীতল যুদ্ধ আবার যেন ফিরে আসছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করা যেন নিয়তির পরিহাস৷

Saint-Aubin-sur-mer Juno Beach Normandie 1944
১৯৪৪ সালের ৬ই জুন ফ্রান্সের নর্মান্ডি উপকূলে হামলা চালায় সৈন্যরাছবি: Getty Images

নাৎসি জার্মানি তখন ইউরোপজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে৷ একদিকে একের পর এক দেশ দখল করে, অন্যদিকে ইহুদি নিধন যজ্ঞ চালিয়ে গোটা বিশ্বে ত্রাস ছড়াচ্ছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য হিটলারের বাহিনী৷ ঠিক এমন সময়ই প্রথমবারের মতো তাদের বড় ধাক্কা দিতে সমর্থ হয় মিত্রবাহিনী৷ ইউরোপকে নাৎসিদের থাবা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৪৪ সালের ৬ই জুন ফ্রান্সের নর্মান্ডি উপকূলে হামলা চালায় তাদের সৈন্যরা৷ ‘ডি-ডে' বলে পরিচিত এই দিনটি অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির জয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সেই সৈন্যদের কয়েকজন আজও বেঁচে আছেন৷ বৃহস্পতিবারই তাঁদের অনেকে সামরিক ইউনিফর্ম পরে নর্মান্ডি সৈকতে কুচকাওয়াজ করেন৷ অশীতিপর বৃদ্ধদের অনেকেই সেদিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন৷ তবে তাঁদের মনের জোর দেখে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই৷

তবে সবার নজর ২০ জন বিশ্ব নেতাদের দিকে, যাঁরা শুক্রবার মূল অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছেন৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মধ্যে একই মঞ্চে এই দুই নেতার উপস্থিতির বিশেষ তাৎপর্য দেখছেন অনেকেই৷ তবে তাঁদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না৷ পুটিন বুধবার বলেছিলেন, তিনি ওবামার সঙ্গে দেখা করতে রাজি৷ তবে ওবামা সেই প্রস্তাবে কান দেননি৷ এমনকি অ্যামেরিকার অনুরোধে প্যারিসে দুই নেতার যাত্রাপথও আলাদা রাখতে হচ্ছে ফরাসি কর্তৃপক্ষকে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ দু'জনের সঙ্গে আলাদা করে সান্ধ্যভোজের আয়োজন করেছিলেন৷ তবে রুশ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথা হয়েছে৷

প্রেসিডেন্ট ওলঁদকে একইসঙ্গে সব অতিথি সামলাতে হচ্ছে৷ পুটিন ও ওবামার সঙ্গে আলাদা সাক্ষাতের পাশাপাশি আর এক জন ভিভিআইপি-কেও সামলাতে হচ্ছে তাঁকে৷ ট্রেনে করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সে এসেছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ দেশের মধ্যে কোণঠাসা ওলঁদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক সাফল্যের আশায় রয়েছেন৷ ওবামা ও পুটিনের মধ্যে বরফ গলাতে না পারলেও শুক্রবার ইউক্রেনের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে পুটিনের করমর্দন করমর্দন করাতে চান ওলঁদ৷ এই লক্ষ্যে একেবারে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে ফ্রান্সে এনেছেন পোরোশেঙ্কোকে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য