‘ডোন্ট শুট’ খুব ভালো লাগলো | পাঠক ভাবনা | DW | 03.09.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘ডোন্ট শুট’ খুব ভালো লাগলো

‘‘ব্যস্ততাকে হার মানিয়ে লিখতে বসলাম৷ কারণ ‘স্ত্রী বেশি কামুক বলে বিবাহবিচ্ছেদ'প্রতিবেদনটি পড়ে অবাক হয়েছি৷ আলতাফনগর, বগুড়া, বাংলাদেশ থেকে মো.শাহিনুর আলম এভাবেই তাঁর ই-মেলটি শুরু করেছেন৷''

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের পুরুষদেরও এমন সমস্যায় পড়তে হয়৷ আসলে কিছু খারাপ অভ্যাস বা মাস্টারবেশনের কারণে পরুষদের যৌন ক্ষমতা কমে যায়৷ জার্মান পুলিশ অফিসারদের শেখানো হয় ‘ডোন্ট শুট' – এ প্রতিবেদনটি বেশ ভালো লাগলো৷ তবে অ্যামেরিকাতে যে ঘটনাটা উল্টো, তা জেনে অবাক হলাম৷ আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি৷''


ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া, বাংলাদেশ থেকে এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন এম এ বারিক৷ তাঁর বক্তব্য এখানে হবহু তুলে ধরা হলো, ‘‘মাকে নিয়ে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন আবারও পড়লাম৷ মায়ের সাথে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না৷ এবং কোনো কিছুর বিনিময়ে মায়ের ঋণ শোধ করা যায় না৷ ডয়চে ভেলের সাথে এ বিষয়ে আজ আমি একটি গল্প শেয়ার করতে চাই৷ গল্পটি কোথায় যেন পড়েছিলাম৷ যাই হোক, এক লোক তার মাকে খুবই অত্যাচার করত৷ সে তার মাকে খেতে দেয় না, এমনকি কাপড় পর্যন্ত দেয় না৷

মা অন্যের বাড়ি বাড়ি সারা দিন ভিক্ষা করে যা পেত, তাই দিয়ে কোনোরকম দিন কাটাত৷ তবুও মা সন্তানের জন্য দোয়া করত৷ একদিন সে তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷ অবশেষে মা গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচার চায়৷ বিচারে সেই ব্যক্তিকে বলা হলো যে, মা তাকে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করেছে৷ ব্যক্তিটি হঠাৎ বলে উঠলো, ‘আমি আমার মায়ের ঋণ শোধ করতে চাই'৷ সবাই বলল, ‘আচ্ছা৷ তুই যদি তোর মায়ের ঋণ শোধ করতে পারিস, তাহলে আর তোর মাকে ভাত কাপড় দিতে হবে না৷ তোর মা যেভাবে তোকে দশ মাস গর্ভে করে বেড়িয়েছে তোকেও ঠিক একই কাজ করতে হবে৷ আমরা তোর পেটে একটা ইট বেঁধে দেবো এবং এই ইট নিয়েই তোকে চলাফেরা করতে হবে৷' লোকটি তাদের কথায় রাজি৷ তার পেটে ইট বেঁধে দেওয়া হলো৷ এক মাস দুই মাস এভাবে চলার পর লোকটি আর চলতে পারে না৷ সে বুঝতে পারলো মা তার জন্য কত কষ্টই না করেছে৷ তাই সে তার মায়ের কাছে ক্ষমা চাইল৷ এতে গ্রামবাসীরা সবাই খুশি হলো৷''

পরের ই-মেলটির প্রেরক নাটোরের পাঠক রাজীব কুমার মন্ডল৷ ‘‘২৭শে আগস্ট থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ভেনিস চলচ্চিত্র উত্‍সব নিয়ে ডয়চে ভেলে বাংলার চিত্রসহ ছবিঘর বেশ ভালো লেগেছে৷ আশাকরি ১১ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক এ উত্‍সবের আরো ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন৷ ভালো থাকবেন৷''

‘‘‘মায়ের কোলে ফিরে এলো শিশু, গ্রেপ্তার দু'জন' প্রতিবেদনটি পড়লাম৷ মা তার সন্তানকে ফিরে পেয়েছেন – এ অবশ্যই আনন্দের সংবাদ৷ এরকম প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ ডয়চে ভেলেকে৷ ধন্যবাদ এবোলার প্রতিবেদনটির জন্যও৷'' এভাবেই লিখেছেন ডা.অসিত কুমার দাশ মিন্টু, চট্রগ্রাম, বাংলাদেশ থেকে৷


সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন