তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের পুরুষদেরও এমন সমস্যায় পড়তে হয়৷ আসলে কিছু খারাপ অভ্যাস বা মাস্টারবেশনের কারণে পরুষদের যৌন ক্ষমতা কমে যায়৷ জার্মান পুলিশ অফিসারদের শেখানো হয় ‘ডোন্ট শুট' – এ প্রতিবেদনটি বেশ ভালো লাগলো৷ তবে অ্যামেরিকাতে যে ঘটনাটা উল্টো, তা জেনে অবাক হলাম৷ আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি৷''
ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া, বাংলাদেশ থেকে এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন এম এ বারিক৷ তাঁর বক্তব্য এখানে হবহু তুলে ধরা হলো, ‘‘মাকে নিয়ে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন আবারও পড়লাম৷ মায়ের সাথে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না৷ এবং কোনো কিছুর বিনিময়ে মায়ের ঋণ শোধ করা যায় না৷ ডয়চে ভেলের সাথে এ বিষয়ে আজ আমি একটি গল্প শেয়ার করতে চাই৷ গল্পটি কোথায় যেন পড়েছিলাম৷ যাই হোক, এক লোক তার মাকে খুবই অত্যাচার করত৷ সে তার মাকে খেতে দেয় না, এমনকি কাপড় পর্যন্ত দেয় না৷
-
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
শিশুরা কাঁদে কেন?
যে কোনো শিশুই চিৎকার করে কেঁদে তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর জানিয়ে দেয়৷ তারপরও কারণে-অকারণেই ওরা কাঁদে৷ এই সুন্দর ভুবনের সাথে মানিয়ে নিতে ওদের যেমন কিছুটা সময় লাগে, তেমনই নতুন মা-বাবারও লাগে খানিকটা সময় সব কিছু গুছিয়ে নিতে৷ যা খুবই স্বাভাবিক৷
-
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
আমার কান্না কেউ কি শুনছে না?
মাঝে মাঝে শিশুরা চিৎকার করে ওঠে, বিশেষ করে কাছাকাছি অনেকক্ষণ কোনো শব্দ শুনতে না পেলে৷ অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই হয়ত তখন কাঁদে তারা৷ মজার ব্যাপার, ঐ মুহূর্তে কেউ কাছে গিয়ে কথা বললে বা কোলে তুলে নিলে সাথে সাথেই শিশুদের কান্না থেমে যায়৷
-
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
বাঙালি বাবা-মায়ের সন্তান
দেশে সন্তান জন্মের পর থেকেই সে বাচ্চা কোলে কোলে থাকে৷ বাচ্চা কাঁদুক আর না কাঁদুক৷ নতুন মা সারাক্ষণই তাঁর শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত আর সেই শিশু সর্বক্ষণই পেয়ে থাকে মায়ের শরীরের উষ্ণতা৷ শিশুকে কোলে নেওয়ার জন্য বাবা-মা ছাড়াও আত্মীয়স্বজন থাকেন৷ এছাড়া, বাচ্চাকে শুধু দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোকও অনেক সময় রাখা হয়৷
-
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
জার্মান শিশু
জার্মানিতে কোনো শিশু কাঁদলেই চট করে কোলো তুলে নেওয়া হতো না কয়েক বছর আগ পর্যন্তও৷ শিশু কাঁদলে ওকে শুইয়ে রাখা হতো৷ এক সময় সেই ছোট্ট শিশু কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পরতো৷ কারণ, মা সারাক্ষণ বাচ্চাকে কোলো নিলে বাড়ির অন্য কাজ কে করবে? রাতে প্রতিদিন ঘড়ি ধরে একই সময়ে বাচ্চাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হতো ঘর অন্ধকার করে৷ বলা বাহুল্য জার্মানিতে গ্রীষ্মকালে প্রায় ১১টা পর্যন্ত বাইরে সূর্যের আলো থাকে৷
-
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
সময় পাল্টেছে, বদলেছে চিন্তাধারা
একদিকে যেমন জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলিতে প্রযুক্তি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশেরও কিছু বিষয় গ্রহণ করতে শুরু করেছে তারা৷ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. গেন কামেদা বলেন, পশ্চিমের সংস্কৃতিটা এমন যে শিশুরা মায়ের শরীরের উষ্ণতা কম পায়, কারণ এ দেশে বাচ্চারা বিছানায় বেশি সময় থাকে আর এটাই হয়ত শিশুদের রাতে কান্নাকটি করার বড় কারণ৷
-
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
নতুন বাবা-মা
নতুন মা-বাবার নানা প্রশ্ন, শিশুটির কান্নার কারণ তাঁরা বুঝতে পারেন না৷ ক্ষুধা, শরীর খারাপ, ক্লান্ত নাকি আদর, কি চায় বেবিটি? আসলে শরীরের উষ্ণতা পেলে শিশুরা সব কিছুই ভুলে যায়, যদি না বড় কোনো শারীরিক কষ্ট থেকে থাকে, বলেন ডা. কামেদা৷ তাঁর পরামর্শ, পিতা-মাতা হলে অনেককিছুই বাদ দিতে হয়, তাই বাইরে গেলে শিশুকে কোলে করে সঙ্গে নেবার চেষ্টা করবেন – যাতে শিশুটি শরীরের উষ্ণতা পায়৷
-
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
ডাক্তারের পরামর্শ
নতুন বাবা-মায়ের জন্য ডাক্তার কামেদার আরো পরামর্শ, শিশুর কাছাকাছি থাকুন, শিশুকে সময় দিন, কোলে তুলে নিন৷ অল্প কিছুদিন পরেই দেখবেন, শিশু শুধু কাঁদেই না, বরং খুব শীঘ্রই তারা হাসতে শিখবে, হাসাবে মা-বাবাকেও৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
মা অন্যের বাড়ি বাড়ি সারা দিন ভিক্ষা করে যা পেত, তাই দিয়ে কোনোরকম দিন কাটাত৷ তবুও মা সন্তানের জন্য দোয়া করত৷ একদিন সে তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷ অবশেষে মা গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচার চায়৷ বিচারে সেই ব্যক্তিকে বলা হলো যে, মা তাকে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করেছে৷ ব্যক্তিটি হঠাৎ বলে উঠলো, ‘আমি আমার মায়ের ঋণ শোধ করতে চাই'৷ সবাই বলল, ‘আচ্ছা৷ তুই যদি তোর মায়ের ঋণ শোধ করতে পারিস, তাহলে আর তোর মাকে ভাত কাপড় দিতে হবে না৷ তোর মা যেভাবে তোকে দশ মাস গর্ভে করে বেড়িয়েছে তোকেও ঠিক একই কাজ করতে হবে৷ আমরা তোর পেটে একটা ইট বেঁধে দেবো এবং এই ইট নিয়েই তোকে চলাফেরা করতে হবে৷' লোকটি তাদের কথায় রাজি৷ তার পেটে ইট বেঁধে দেওয়া হলো৷ এক মাস দুই মাস এভাবে চলার পর লোকটি আর চলতে পারে না৷ সে বুঝতে পারলো মা তার জন্য কত কষ্টই না করেছে৷ তাই সে তার মায়ের কাছে ক্ষমা চাইল৷ এতে গ্রামবাসীরা সবাই খুশি হলো৷''
পরের ই-মেলটির প্রেরক নাটোরের পাঠক রাজীব কুমার মন্ডল৷ ‘‘২৭শে আগস্ট থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সব নিয়ে ডয়চে ভেলে বাংলার চিত্রসহ ছবিঘর বেশ ভালো লেগেছে৷ আশাকরি ১১ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক এ উত্সবের আরো ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন৷ ভালো থাকবেন৷''
‘‘‘মায়ের কোলে ফিরে এলো শিশু, গ্রেপ্তার দু'জন' প্রতিবেদনটি পড়লাম৷ মা তার সন্তানকে ফিরে পেয়েছেন – এ অবশ্যই আনন্দের সংবাদ৷ এরকম প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ ডয়চে ভেলেকে৷ ধন্যবাদ এবোলার প্রতিবেদনটির জন্যও৷'' এভাবেই লিখেছেন ডা.অসিত কুমার দাশ মিন্টু, চট্রগ্রাম, বাংলাদেশ থেকে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ