1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডোপিং-এর নিষ্পাপ শৈশবের কথা বললেন বের্ন্ড শুস্টার

২৫ আগস্ট ২০১৩

ফুটবলের স্বর্ণযুগের কথা না বলে যদি এক ধরনের স্বর্গরাজ্যের কথা ভাবা যায়, যেখানে ডোপিং-এর অশুভ ছায়া পড়েনি, তাহলে জার্মান ফুটবলার ও কোচ বের্ন্ড শুস্টারের মতো কারোর সঙ্গে কথা বলতে হয়৷

https://p.dw.com/p/19VdZ
ছবি: picture-alliance/dpa

৫৩ বছর বয়সি শুস্টার আজ স্পেনের ফার্স্ট ডিভিশন দল মালাগার কোচ৷ এককালে জার্মান জাতীয় একাদশের মিডফিল্ডার ছিলেন৷ আশির দশকে বার্সেলোনা ও রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন৷ তিনি ফুটবলের যে স্বর্গরাজ্যে বাস করতেন, সেখানে দৃশ্যত ডেপিং বলে ঐ খারাপ কথাটা ছিল না৷

গত সপ্তাহে জার্মানির স্পোর্ট বিল্ড পত্রিকার সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে শুস্টারের যুক্তি ছিল, ফুটবলারদের ইনজুরি সারাতে যদি একটু-আধটু ওষুধপত্তর ব্যবহার করতে হয়, তবে তা-তে দোষটা কোথায়? ‘‘যদি সেটা শুধুমাত্র শরীরকে আবার চাঙা করার জন্য হয়, তবে আমার তা-তে কোনো সমস্যা নেই৷ যদি একজন প্লেয়ার ইনজুরির পর দু-তিন সপ্তাহ আগেই ফিট হয়ে ওঠে, তাহলে (ডোপিং-এর) মানে আছে বলতে হয়৷''

Symbolbild Doping Impfung Injektion Spritze
ডোপিং-এর নিষ্পাপ শৈশবের কথা বললেন বের্ন্ড শুস্টারছবি: Fotolia/Klaus Eppele

শুস্টার স্পষ্ট করে দেন যে, তিনি প্লেয়ারদের পারফর্মেন্স বাড়ানোর জন্য ডোপিং-এর বিরোধী, কিন্তু ‘‘কোনো প্লেয়ারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার নিজের পর্যায়ে ফেরৎ আনার জন্য'' ডোপিং-এ কোনো দোষ দেখেন না তিনি৷ তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা হলো, তিনি যখন প্লেয়ার ছিলেন তখন ডোপিং কোনো ইস্যুই ছিল না, কেননা ‘‘শব্দটাকে আজ আমরা যে অর্থে জানি, শব্দটা সে অর্থে ছিল না৷ আমরা সকলেই কিছু না কিছু নিতাম৷ অবশ্য ক্ল্যাসিকাল অর্থে স্টিমুল্যান্ট নয়৷''

স্টিমুল্যান্ট মানেই তো পারফর্মেন্স বৃদ্ধিকারী ড্রাগ৷ তাহলে কি সেবন করতেন শুস্টার ও তাঁর সঙ্গিসাথিরা? ‘‘ডাক্তার আর ফিজিওথেরাপিস্টরা সবসময়েই আমাদের কোনো না কোনো পদার্থ দিতেন, অনেকসময় ম্যাচের দিন সকালেই – যদি শরীরটা ভালো না থাকে কিংবা ব্যথা-ট্যথা কিছু থাকে৷ কেউ জিজ্ঞেস করতো না কি দেওয়া হচ্ছে৷ তবে পশ্চাৎদেশে ইলেকট্রিক শক পেয়ে ২০০ পার্সেন্ট এনার্জি নিয়ে সারা মাঠ চষে বেড়ানোর মতো ব্যাপারও ছিল না৷''

শুস্টারের মূল বক্তব্য হলো: তাঁর অথবা তাদের আমলে ইনজুরি থেকে সারতে যতটা সময় লাগত, তার চেয়ে আজ অনেক কম সময় লাগে৷ ‘‘আগে আমার গোড়ালি মচকে গেলে রড দিয়ে সেটাকে সিধে করা হতো৷ (যন্ত্রণায়) আমার সারা শরীর দিয়ে যেন চোখের জল বের হতো৷ আজ একটা হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি (হাঁটুর পিছন দিকে পেশিতন্তুর চোট) হবার এক সপ্তাহের মধ্যে প্লেয়াররা আবার খেলতে পারে৷ সব মিলিয়ে কত কিছু ভালো হয়েছে ভাবলেও আশ্চর্য লাগে৷''

বের্ন্ড শুস্টার ফুটবলের খেটে খাওয়া মনিষ্যি; বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পয়সা খেলে, এমন একটি খেলার নিষ্পাপ শৈশবের সাথি৷ ডোপিং, ড্রাগস ইত্যাদির অক্টোপাস তার আটটি সাঁড়াশি বাহুর কোনটা যে কোথায় ঢুকিয়ে রেখেছে এবং কেন, সেটা তাঁর জানা থাকলেও, ঠিক উপলব্ধি করে উঠতে পারার কথা নয়৷ প্লেয়ার এবং কোচ হিসেবে তিনি জানেন, একজন প্লেয়ারের ইনজুরি থেকে চটজলদি নিরাময় হওয়াটা ক্লাব, প্লেয়ার ও কোচের পক্ষে ঠিক কতটা জরুরি৷

কাজেই তিনি যা বলেছেন, তার অর্থ দাঁড়ায়: ওহে ডাক্তার-বদ্যিরা, ব্যথা-ট্যথা সারানোর ভালো, সহজ ও দ্রুত পন্থা যদি কিছু জানা থাকে, তো কাজে লাগিও৷ কিন্তু দেখো, ঐ ডোপিং-টোপিং যেন তার মধ্যে এসে না পড়ে৷

যা আমরা সকলেই চাই৷

এসি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য