1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড. ইউনূস প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্কে মার্কিন কূটনীতিক

২১ মার্চ ২০১১

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ স্বাভাবিক৷ তবে তা যদি হয় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তাহলে তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান৷

https://p.dw.com/p/10d4n
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্রেক (ফাইল ফটো)ছবি: AP

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেকের বাংলাদেশ সফর ও ড. ইউনূসকে নিয়ে তাঁর তৎপরতার বিষয়ে ডয়চে ভেলের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান৷ রবার্ট ও ব্লেকের আশা বাংলাদেশ সরকার এবং ড. ইউনূস একটি সমঝোতায় পৌঁছবেন৷

রবার্ট ও ব্লেক বাংলাদেশ সফরে এসে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন৷ তিনি বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গে৷ বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে৷ আলাপ হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গেও৷ তিনি আশা করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার একটি সম্মানজনক সমঝোতায় পৌঁছবে৷ গ্রামীণ ব্যাংককে সঠিক পথে চালাতে সরকার আন্তরিক হবে৷

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে মার্কিন সরকারের উদ্বেগ এবং আগ্রহের কথা তাঁরা জেনেছেন৷ তবে সমঝোতার কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী দেননি৷ আর বিষয়টি যেহেতু আদালতে, তাই এব্যাপারে সরকারের কিছু করার নেই৷

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেকের বাংলাদেশ সফর ও ড. ইউনূসকে নিয়ে তাঁর উদ্বেগ যদি বন্ধুত্বের কারণে হয় তা হলে তাকে স্বাভাবিকই মনে করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, কিন্তু এসব যদি হয় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তবে তা গ্রহণযোগ্য নয়৷ কারণ তা হবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল৷ আর আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়, বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক আইনের এই অধ্যাপক৷

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের পর এখন বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই