1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

Dhaka, ঢাকা, বন, Bonn, Germany, Bangladesh

৯ জুলাই ২০১০

বন্যা, জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত ঢাকা গড়তে শহরের পূর্বাঞ্চলে বন্যা প্রতিরোধক বাঁধ তৈরির বিকল্প নেই৷ তবে এই বাঁধ তৈরির সাথে সাথে নিশ্চিত করতে হবে সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা৷

https://p.dw.com/p/OFNR
Dhaka, ঢাকা, বন, Bonn, Germany, Bangladesh
ছবি: picture-alliance/ dpa

এছাড়া ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও আবাসন প্রক্রিয়ায় সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে আরো কঠোর পদক্ষেপ৷

জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিত ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার ঢাকা' শীর্ষক কর্মশালায় এসব মন্তব্য করলেন বিশেষজ্ঞরা৷ জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিষয়ক ইন্সটিটিউট আয়োজন করে এই কর্মশালা৷ মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ এবং বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সেবিষয়টিই বন কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য৷ তবে পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে রাজধানীর উপর যে অতিরিক্ত চাপ এসে পড়ছে সেটিই চলে আসে আলোচনার কেন্দ্রে৷ আর কর্মশালায় উপস্থিত বাংলাদেশের পরিবেশ, পানি এবং জলবায়ু নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীরা এসব সুপারিশ তুলে ধরেন৷

উঠে আসে খাবার পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে ঢাকাবাসীকে রক্ষার সুপারিশ৷ জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দ্রুত কমে আসছে কৃষি জমির পরিমাণ৷ তাই ঢাকার বস্তিবাসীদের জন্য পরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মাণ করে তাদেরকে পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে৷ একইসাথে ঢাকার বাইরেও সারাদেশে জমির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধেরও প্রস্তাব করা হয়৷ গ্রাম পর্যায়েও সরকারি উদ্যোগে পরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মাণ করে সকল মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়৷

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম বললেন, বন্যা এবং পানি নিষ্কাশনের কাজের সাথে জড়িত রয়েছে পাঁচটি দপ্তর৷ এসব দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানকে একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া এবং নগর পরিকল্পনার আওতায় এনে কাজ করাতে হবে৷ গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা ইস্টার্ন বাইপাস রোড, যেটা বন্যা প্রতিরোধ বাঁধ হিসেবেও কাজ করবে, সেটার কথা বলে আসছি৷ কিন্তু এখনও সেটা হয়নি৷

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ বললেন, ঢাকায় একসময় ৪০-৫০ টা খাল ছিল৷ এগুলোর অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে কিংবা অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে৷ এগুলোকে দখলমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে একদিকে বন্যার সময় এগুলো পানির আধার হিসেবে কাজ করবে৷ অন্যদিকে ড্রেনেজ সিস্টেম হিসেবেও ভালো কাজে লাগবে৷

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর উর্ধ্বতন গবেষক ড. আনওয়ারা বেগম বলেন, বাংলাদেশের জমি বাঁচাতে হবে৷ কারণ ফসল তুলতে হবে৷ ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের সব কৃষিজমি হারিয়ে যাবে যদি আমরা অপরিকল্পিতভাবে গৃহায়ন করতে থাকি৷ তাই গ্রামের বাড়িগুলোকে পরিকল্পিতভাবে বহুতল বিশিষ্ট করে গুচ্ছগ্রাম আকারে সঠিক আবাসনের সুপারিশ করেন তিনি৷

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. হামিদুল হক, বন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ক্লেমেন্স জিমার এবং গবেষক ইনজা থিলে-আইশ, কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত অধ্যাপক ড. এ জেড এম শোয়েব এবং গবেষক টিবর আসওয়ার৷ সমন্বয় করেন কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরিস ব্রাউন৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক