1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক নিয়ে ‘তামাশা'

৪ অক্টোবর ২০১৫

অঙ্গীকার এক৷ কিন্তু অঙ্গীকার পূরণের আন্তরিক চেষ্টায় বিস্তর ফারাক৷ ফেসবুক পেজ খুলেছে ঠিকই৷ কিন্তু সেই পেজের তত্ত্বাবধান এবং নাগরিক সেবায় তা কাজে লাগানোর কাজে কুষ্টিয়ার চেয়ে ঢাকা অনেক পিছিয়ে৷

https://p.dw.com/p/1GhW8
Symbolbild Indien Computer
ছবি: Getty Images/AFP/P. Paranjpe

নাগরিক সেবায় ফেসবুক পেজকে কাজে লাগাচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়৷ তাদের এ উদ্যোগ স্বাভাবিক কারণেই ব্যাপক প্রশংসিত৷ তাদের ফেসবুক পাতাটিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের অধীনে বসবাসরত নাগরিকদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের উদ্দেশ্যেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সহায়তা নেয়া৷

উদ্যোগ অনুযায়ী কাজের অনেক নমুনাই আছে সংবাদমাধ্যমের খবরে৷ ওষুধ খাইয়ে কিংবা ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে কিনা তা তদারক করার কার্যক্রমের খবর প্রকাশিত হচ্ছে দৈনিকে৷ জেলায় দেশি গরু পালন বাড়ছে – দেশের প্রধান দৈনিকে এমন খবরও এসেছে৷ উন্নয়ন মেলা আয়োজনের খবরও গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশের সব অঞ্চলের মানুষই জেনেছেন৷ ইউটিউবেও আছে এমন উদ্যোগের প্রচারণা৷

বিজ্ঞানমনষ্ক প্রজন্ম গড়ে তোলার উদ্যোগের সঙ্গেও আছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন৷

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের খবর জানানোর কাজে তাদের ফেসবুক পাতাটিও খুব সক্রিয়৷ টাইমলাইন আপডেট হয় নিয়মিত৷ তাই চোখ রাখলেই পড়া যায় বিভিন্ন ধরণের মেলা আয়োজনের কথা৷ সম্প্রতি কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়াম চত্বরে আমের চারা রোপণ করে ফলদ বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে৷ এ বিষয়ের পোস্টের নীচে নগরবাসীর মন্তব্যও আছে৷ সেখানে এ উদ্যোগের প্রশংসা করে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের উদ্দেশ্যে একজন লিখেছেন, ‘‘কুষ্টিয়া জেলায় বৃক্ষ রোপণের জন্য আপনি কিছু উদ্দোগ গ্রহণ করলে মনে হয় তা সফল হতে পারে৷'' ২৯ সেপ্টেম্বরের এই ফেসবুক পোস্টের নীচে আরেকজনের মন্তব্য, ‘‘আমাদের কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামকে আরো বড় আর সংস্কার করা প্রয়োজন৷ আপনাদের অবগতির জন্য জানানো গেল৷''

জেলা শহরের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগসূত্র হিসেবে ফেসবুক পেজের কার্যকারিতার ভুরি ভুরি নমুনা আছে ফেসবুক পাতায়৷ দেখলেই বোঝা যায়, জেলা প্রশাসকের আশ্বাস এবং সেই অনুযায়ী কাজ করায় তাঁর সহকর্মীরাও বেশ তৎপর৷

কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নামে দৃশ্যমান ফেসবুক পাতাগুলোর অবস্থা খুবই সঙ্গীন৷ বাংলায় ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন' লেখা একটি ফেসবুক পাতার টাইমলাইনে সর্বশেষ পোস্ট পড়েছে মে মাসের ১১ তারিখে৷ সেখানে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন'-এর নামে প্রচার চালানো হয়েছে ‘বাংলাদেশ ছাত্র শক্তি' নামের একটি সংগঠনের৷ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মেয়র হিসেবে তাঁর কোনো কর্মদ্যোগের চিহ্নই সেখানে নেই৷ ইংরেজিতে ‘ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশন' লেখা অন্য পেজটির টাইমলাইনে শুধু ফুলের ছবির ছড়াছড়ি৷ পাতাটি নির্মানাধীন কিনা সে সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি৷ দু'টি ফেসবুক পাতাই হয়ত কোনো ব্যক্তির খেয়ালি অনধিকারচর্চার ফসল৷

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নামে যে ফেসবুক পাতাটি দেখা গেল সেটি বেশ পরিচ্ছন্ন৷ ঈদ-উল-আজহার আগে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক টক শো-তে সিটি কর্পোরেশনের ফেসবুক পাতার কথা সগর্বে উল্লেখ করেছিলেন৷ যে কোনো সমস্যার কথা ওই ফেসবুক পাতায় জানালেই সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু পাতাটি নিজে নিয়মিত দেখলে সম্ভবত জনাব আনিসুল হক গর্ব করতে পারতেন না৷ ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কথিত ফেসবুক পাতায় ঢুঁ মেরে দেখা গেল সেখানে সর্বশেষ পোস্ট পড়েছে গত ২০ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ ঈদের আগে৷ ঈদের ছুটি শেষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পাতা পুরোদমে সচল হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু ফেসবুক পাতা দেখে মনে হয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৯ সেপ্টেম্বরও ঘুম ভাঙেনি৷

তবে ঈদের পর ঢাকা শহর থেকে কুরবানির বর্জ্য ঠিকই অপসারণ করেছে সিটি কর্পোরেশন৷ এ কারণে সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদও দিয়েছেন কেউ কেউ৷ ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য৷ তবে ধন্যবাদের পাশাপাশি সমালোচনাও চলছে৷ একজন জানিয়েছেন, ‘‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও উত্তরের মধ্যে কোনো সমন্বয় নাই৷ গতকাল (২৭-০৯-১৫) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাৎসরিক কর দিতে গেলে ওরা পূর্বের করের ১০ শতাংশ কম কর গ্রহণ করেছে৷ আজ (২৮-০৯-১৫) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বার্ষিক কর দিতে গেলে ওরা জানালো, কমানোর প্রশ্নই উঠে না, বরঞ্চ বাড়ানোর চিন্তা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন৷ কোথায় যাবো আমরা?

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য