1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্য প্রেরণের গতি বেড়ে গেল চারগুণ!

১৯ মার্চ ২০১১

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদানের গতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তবে সম্প্রতি জার্মান ও ডেনিশ বিজ্ঞানীদের এক গবেষণা এ বিষয়ে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে৷

https://p.dw.com/p/10cQ8
ফাইবার অপটিক তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের গতি বাড়ছেছবি: Fraunhofer HHI

এক-দুটি নয়, ২৪০টি ডিভিডিতে ঠিক কতগুলো তথ্য ধরতে পারে একবার ভেবে দেখুনতো! সেই পরিমাণ তথ্যই মাত্র এক সেকেন্ডে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ এর আগের রেকর্ড ছিল এর চেয়ে চারগুণ কম৷ অর্থাৎ তখন মাত্র ৬০টি ডিভিডি'র তথ্য পাঠানো সম্ভব হয়েছিল৷

সংখ্যার হিসেবে এক সেকেন্ডে তথ্য পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১০.২ টেরাবিটস৷ ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার অপটিক তারের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হয় এই তথ্য৷ আগেরবার পাঠানো তথ্যের পরিমাণ ছিল ২.৫৬ টেরাবিটস৷ সেটা ২০০৫ সালের কথা৷

CeBIT 2011 Die Kamera ordnet den Passanten direkt eine Gefühlsregung zu und zeigt sie dann auf dem Monitor. Die Technik wird in der personalisierten Werbung in den USA bereits verwednet
তথ্য প্রযুক্তি জগতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটিয়ে চলেছে ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটছবি: DW

জার্মানির ফ্রাউনহোফার হাইনরিশ হারত্স ইনস্টিটিউট বা এইচএইচআই ও ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি'র বিজ্ঞানীরা এই সফলতা দেখিয়েছেন৷ লস এঞ্জেলস'এ অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে গবেষণার এই ফলাফল তুলে ধরা হয়৷

এর আগের যে রেকর্ড সেটার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে জার্মানির এইচএইচআই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের নাম৷ সেবার তাদের সঙ্গে ছিলেন জাপানের বিজ্ঞানীরা৷

গবেষক দলের একজন জার্মান বিজ্ঞানী কার্স্টেন স্মিট-লাংহর্স্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁরা এই ফলাফলে নিজেরাই বিস্মিত৷ কারণ মাত্র ছয় বছরে তথ্য প্রেরণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় চারগুণ!

অ্যামেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোবিন্দ আগরওয়াল একে বিশ্বরেকর্ড বলে মানছেন৷ তবে এটা বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করছেন না তিনি৷ তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের ব্যবহৃত পদ্ধতিই এর কারণ বলে তিনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷ আগরওয়াল বলছেন, এই পদ্ধতির কারণে সংকেত খুব তাড়াতাড়ি নেমে যায়৷

তবে অ্যামেরিকারই আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমন্ড হানসেন এই গবেষণাকে তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি মনে করছেন৷ যদিও তাঁর ধারণা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নিকট ভবিষ্যতে এর সুফল পাবেন না৷ কারণ ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগে এই প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন