1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আন্দোলন থামিও না’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

দুই বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ চিহ্নিত বা গ্রেপ্তার হয়নি অপরাধীরা৷ তারপরও আশা ছাড়েননি তাঁদের পরিবারের সদস্যরা৷

https://p.dw.com/p/1B6n6
Bildergalerie Bangladesch Andenken an den Mord an Sagar Sarowar und Meherun Runi
সাগরের মা সালেহা মুনীরছবি: DW/M. Mamun

সাগরের মা সাংবাদিকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন৷ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাগর-রুনির হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনিক ব্যর্থতায় লজ্জিত হওয়ার কথা জনিয়েছেন৷ এদিকে সাংবাদিকরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন৷

দুই বছর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঢাকার রাজাবাজারের বাসায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে৷ বেঁচে আছে তাঁদের একমাত্র শিশু সন্তান মেঘ৷ এই দুই বছরেও তাঁদের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেননি তদন্তকারীরা৷ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দুই বছরে সাংবাদিকসহ দেশের সাধারণ মানুষ অনেক আন্দোলন-অনশন করেছেন৷ সাগর-রুনির পরিবারের সদস্যরা চোখের জল ফেলেছেন৷ মেঘের বয়স দুই বছর বেড়েছে৷ কিন্তু অপরাধীরা আটক হয়নি৷ হয়েছে তদন্তের নামে নানা নাটক আর গল্প৷

সাগর-রুনির মৃত্যুর দু'বছরে তাই মঙ্গলবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নানা কর্মসূচিতে হতাশার কথাই প্রকাশ পেয়েছে৷ কিন্তু সাগরের মা সালেহা মুনীর আশা ছাড়েননি৷ তিনি সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্মরণ সভায় কান্না জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘‘আন্দোলন থামিও না, যত সাংবাদিক মারা গেছে সবার বিচারের দাবিতে তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও৷ আমার মেঘের জন্য আমি বিচার চাই৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমি খুব আশাবাদী, সাংবাদিকরা আবার এক হয়েছে শুনে আমি খুশি হয়েছি৷'' তিনি বলেন, ‘‘সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি তাঁদের কবর জিয়ারত করব না৷''

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, ‘‘দুই বছরেও এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হলো না, এটি আমাদের লজ্জা৷ আর সাগর-রুনির নিরাপত্তা দিতে না পারা এবং খুনের বিচার না করা এই রাষ্ট্রের লজ্জা৷'' তিনি বলেন, ‘‘সাগর-রুনি আমাদের চেতনার মধ্যেই আছে৷ আমরা এই হত্যার বিচারের দাবিতে ঐক্যবব্ধ ছিলাম এবং থাকব৷'' এই সমাবেশে দুই সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারাই উপস্থিত ছিলেন৷

সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন৷ রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার৷ মাছরাঙা টেলিভিশনের সামনে সাগরের সহকর্মীরা মানববন্ধন করেন৷ আর এটিএন বাংলার কার্যালয় কারওয়ান বাজার এলাকায় মানবন্ধন করেন সাগর-রুনির সহকর্মীরা৷ তাঁরা আর টালবাহানা না করে সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান৷ তাঁদের প্রশ্ন, হত্যাকারীরা কি এতই ক্ষমতাধর যে সরকারও তাদের আইনের আওতায় আনতে পারে না?

এদিকে সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘‘সাগর-রুনির হত্যা রহস্য উদঘাটিত না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি৷ প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য লজ্জাবোধ করছি৷ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেব, তদবির করব যেন প্রকৃত ঘটনা দেশবাসী জানতে পারেন৷'' হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে ইনু বলেন, ‘‘রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক৷''

এদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আগামী ৩১ মার্চ সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য