1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্‍ শঙ্কার মুখে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ জুলাই ২০১৬

অর্থ পাচার মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বৃহস্পতিবার সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়ায় তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত্‍ এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/1JT6c
তারেক রহমান
ছবি: cc-by-Shamsul alam66

আইনজীবীরা বলছেন, আপিল বিভাগেও যদি এই রায় বহাল থাকে, তাহলে তারেক আর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না৷ আর দেশে না ফিরে আপিলের কোনো সুযোগ নেই৷ দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এখন বিএনপি'র রাজনীতিতে সবচেয়ে ক্ষমতাধর বলে ধারণা করা হয়৷

নিম্ন আদালত এই মামলায় তারেক রহমানকে খালাস এবং তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানার শাস্তি ঘোষণা করেছিল৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করে৷ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার দেয়া রায়ে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে ৪০ কোটি টাকার জরিমানা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করে৷ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন৷

ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক৷

মামলার এজাহার অনিুযায়ী নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদু্যত্‍কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেন মামুন৷ ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়৷ ওই হিসাব থেকে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা খরচ করেন তারেক৷

মাহবুব এ আলম

হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্‍ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল৷ বাংলাদেশের আইনে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্তত দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং মুক্তি পাওয়ার পর যদি পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত না হয়, তাহলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন৷

তবে এটি কোন আদালতের রায়ের পর কার্যকর হবে তা স্পষ্ট নয়৷ আইনে বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতের রায়ের পর থেকেই এই আইন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে যদি তিনি আপিল না করেন৷

লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘‘লন্ডনে বসে আপিল হবে না৷ আমরা যদি তাঁকে ধরে আনতে পারি, অথবা তিনি যদি এসে আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে আপিল করতে পারবেন৷''

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এসে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করলে তিনি এখন থেকেই নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ আপিলে যদি তার দণ্ড বাতিল হয় তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন৷ আপিল করতে হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে৷''

এদিকে বিএনপি অভিযোগ করেছে সরকার তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান