1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদের ভিডিও

৩ মে ২০১০

টেপটিতে ধারণ করা বক্তব্যে মেহসুদ সতর্ক করে দিয়ে বলে, ''আমেরিকার প্রধান শহরগুলোতে হামলার জন্যে নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত আমাদের যোদ্ধারা৷ এবং সেই সময়ও খুব কাছেই৷''

https://p.dw.com/p/NDRl
হাকিমুল্লাহ মেহসুদছবি: dpa

পাকিস্তানী তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ মারা যায়নি, জীবিত আছে৷ শুধু তাই নয়, ইন্টারনেট ভিডিও-তে মেহসুদ যুক্তরাষ্ট্রে আত্মঘাতী হামলা চালানোর কথাও বলেছে৷ গত জানুয়ারিতে চালক বিহীন একটি মার্কিন বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়েছিল৷

ভিডিও টেপটি নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র পাকিস্তানে জঙ্গিদের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারে৷ শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে একটি গাড়ি বোমা হামলার চেষ্টার, অল্পক্ষণ পরেই এই হামলার দায়িত্ব পাকিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী স্বীকার করার পর, ভিডিও টেপটি পোস্ট করা হয়৷

টেপটিতে ধারণ করা বক্তব্যে মেহসুদ সতর্ক করে দিয়ে বলে, ''আমেরিকার প্রধান শহরগুলোতে হামলার জন্যে নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত আমাদের যোদ্ধারা৷ এবং সেই সময়ও খুব কাছেই৷'' বলা হয়েছে, টেপটির কন্ঠস্বর ধারণ করা হয়, ৪-ঠা এপ্রিল ২০১০-এ৷ টেপে এই মর্মেও হুমকি দেয়া হয় যে তালেবান যোদ্ধারা আমেরিকার ওপর প্রতিশোধ নেবে৷

কিছুদিন আগে পাকিস্তানের তালেবান আন্দোলন, তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান বা (টিটিপি), আল কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ সত্ত্বেও তাদের আন্দোলনকে সব জায়গায় ছড়িয়ে না দিয়ে ইসলামাবাদ ভিত্তিক করার ওপর জোর দিয়েছে৷ আর এই কারণেই পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, মেহসুদের এই হুঁশিয়ারি এবং টাইমস স্কোয়ারে বোমা হামলার চেষ্টার দায়িত্ব স্বীকার তাদের দুর্বলতা ফাঁস হবার ইঙ্গিতই দিচ্ছে৷ কেননা এই জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে৷

তালেবান বিশেষজ্ঞ, রহিমুল্লাহ ইসুফজাই বলেছেন, টিটিপি-র হারানোর কিছু নেই৷ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে টিটিপি , হয় বাঁচো না হয় লড়াই করো, অনেকটা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এবং যেভাবে, যখনই পারছে তারা পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীকে লজ্জায় ফেলতে চাইছে৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রে তালিবান হামলার দাবি তাদেরকে এ ক্ষেত্রে হয়ত সাহায্য করতে পারে৷

তবে ৩০-শে ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল খোস্ত-এ একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠিটির জড়িত থাকার সন্দেহ পর্যবেক্ষকদের অবাক করেছে৷ ঐ হামলায়, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ৭ জন কর্মী প্রাণ হারান৷ কোন গোয়েন্দা সংস্থার উপর হামলার ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম হামলা৷

শেষ ভিডিও চিত্রে হাকিমুল্লাহ মেহসুদকে, জর্ডানের ডাবল এজেন্টের সঙ্গে দেখা গেছে৷ এদিকে নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার রেমন্ড কেলি বলেছেন, ''তালেবানের দাবির সমর্থনে কোন প্রমাণ নেই''৷ অন্যদিকে পাকিস্তানী নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এটিকে বড় ধরনের প্রচারণা বলেই অভিহিত করেছেন৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক