1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাহেরের ফাঁসি অবৈধ ঘোষণা করায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া

২৩ মার্চ ২০১১

‘‘গোপন আদালতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি অবৈধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের হাইকোর্ট এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷’’ এই মন্তব্য করে মার্কিন সাংবাদিক লিফসুলজ বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনো সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখলের সাহস পাবেনা৷

https://p.dw.com/p/RBdG
প্রতীকী ছবিছবি: BilderBox

কর্নেল তাহেরের সহধর্মিণী লুৎফা তাহের ৩৫ বছর অপেক্ষা করছেন ন্যায় বিচারের জন্য৷ শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন৷ তাঁর স্বামীকে যে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল, তা প্রমাণিত হয়েছে৷ তিনি এজন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানান৷

কর্নেল তাহেরের ভাই অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন৷ তাঁকেও ১৯৭৬ সালে সামরিক আদালত দণ্ড দিয়েছিল৷ তিনি জানান, কর্নেল তাহের যে দেশ প্রেমিক তা আবারো প্রমাণ হলো৷ আর প্রমাণ হলো, জেনারেল জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী৷

জাসদ নেতা হাসানুর হক ইনুকেও সামরিক আদালত দণ্ড দিয়েছিল৷ সামরিক আদালতের গোপন বিচারকে অবৈধ ঘোষণা করায় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন৷ তিনি বলেন, একজন দেশ প্রেমিককে কখনো হত্যা করা যায়না৷

মার্কিন সাংবাদিক লরেঞ্জ লিফসুলজ ছিলেন সেই গোপন সামরিক আদালতের একজন নিবিড় পর্যবেক্ষণকারী৷ তাঁকে ওই সময় বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল৷ ৩৫ বছর পর তিনি বাংলাদেশে এসে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন৷ তিনি এখন ঢাকায়৷ আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে আইনের শাসন ফিরে আসছে, এই রায় তার বার্তা দিচ্ছে৷ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় আবার সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে৷

তিনি আরও বলেন, এই রায়ের পর বাংলাদেশে সামরিক একনায়করা আর ক্ষমতা দখলের সাহস পাবেনা৷ ৩৫ বছর আগে যে ঘটনা ঘটেছিল তার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবেনা৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদন: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য