তিন দেশ মিলে ত্রিফিনিয়ো
১০ এপ্রিল ২০১৫মধ্য অ্যামেরিকার পাহাড়ি এলাকার মাঝখানে সুবিশাল ত্রিফিনিয়ো অঞ্চল – গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস আর এল সালভাদোর, তিনটি দেশেরই কিছু কিছু অংশ এই ত্রিফিনিয়ো-তে৷ ত্রিফিনিয়ো-র প্রকৃতিকে বাঁচাতে ও সেখানকার মানুষদের জীবনযাত্রার উন্নতিসাধন করতে আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে সৃষ্টি হয়: ‘প্ল্যান ত্রিফিনিয়ো'৷ তিনটি দেশের যৌথ চুক্তির ফলশ্রুতি৷
বালমোর মন্টোইয়া স্বদেশ এল সালভাদোর-এর সরকারি ত্রিফিনিয়ো কমিশনের হয়ে কাজ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই চুক্তি অনুযায়ী তিনটি দেশ ত্রিফিনিয়ো অঞ্চলে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ এলাকাটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ৷ এখানে বিপুল জীববৈচিত্র্য রয়েছে৷ পানির কারণে এখানকার জমিও খুব উর্বর৷ এখানে একাধিক নদীর অববাহিকা, বহু নদীর উৎস৷ এ সবের ফলে এলাকাটি মূল্যবান৷''
সমস্যা: গাছ কাটা
এই অঞ্চলে প্রচুর কপি চাষ হয়৷ কিন্তু চাষিরা তা থেকে কোনো মোটা মুনাফা করতে পারেন না৷ অবকাঠামো খুবই খারাপ, পণ্য বাজারে পাঠাতে অনেক খরচ পড়ে যায়৷ ত্রিফিনিয়ো-র একটি বড় সমস্যা হল গাছ কাটা৷ পাদদেশে জায়গা না থাকায় স্থানীয় চাষিরা পাহাড়ের চূড়া পর্যন্ত খেত করেছেন, যা পরিবেশের পক্ষে বিশেষ ভালো নয়৷ কৃষিবিজ্ঞানী বালমোর মন্টোইয়া জানেন, জনসাধারণকে পানি সরবরাহের জন্য জঙ্গল অতিমাত্রায় প্রয়োজন৷ তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গল ঠিক স্পঞ্জের মতো কাজ করে৷ বৃষ্টি হলে, তা পুরো জলটা শুষে নেয়৷ সেই জলই অনেক নীচের উৎসগুলিকে ভরে দেয়৷ পাহাড়ের পাদদেশে গোটা প্রকৃতি তা থেকে লাভবান হয়৷ সেই কারণেই বনভূমি অক্ষত রাখা আর গাছ কাটা রোখা এতোটা জরুরি৷ কেননা শুধু জঙ্গলই জল ধরে রাখতে পারে – শুধু সেভাবেই আমাদের বসতিগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পেতে পারে৷''
সমস্যা এই যে, গ্রামাঞ্চলের মানুষ রোজকারের অন্ন জোটাতে ব্যস্ত৷ তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করার সময় কোথায়?