1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরাগে ডুবে যাওয়া বাসের সন্ধান মিলেছে, উদ্ধার হচ্ছে লাশ

১১ অক্টোবর ২০১০

ঢাকার অদূরে তুরাগ নদীতে পড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাসটির সন্ধান মিলেছে ২৬ ঘণ্টা পর৷ আজ দুপুর ১টায় নৌবাহিনীর ডুবুরি দল স্যোনার যন্ত্রের সহায়তায় বাসটির সন্ধান পায় আমিনবাজারে সালেহপুর ব্রীজের ৫০ ফুট দূরে নদীর পানির নীচে৷

https://p.dw.com/p/Pazl
ফাইল ছবিছবি: DW

বাসটি উদ্ধারের কাজ চলছে৷ ডুবুরিরা মৃতদেহ উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসছেন৷ দুপুর ২টা পর্যন্ত আরো একটি লাশ পাওয়া গেছে৷ এর আগে রোববার একটি লাশ পাওয়া যায়৷ নিখোঁজ ৪০ জন যাত্রীরই সলিল সমাধির আশংকা করা হচ্ছে৷

তুরাগ নদীর তীরে এখন উদ্বিগ্ন আত্মীয় স্বজনের ভীড়৷ কেউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন প্রিয়জনের মৃত্যুর আশঙ্কায়, আবার কেউ অপেক্ষা করছেন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে৷

ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বৈশাখী পরিবহনের বাসটির সামনের একটি চাকা ফেটে যায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে আমিনবাজারে সালেহপুর ব্রীজে ওঠার সময়৷ এরপর মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে তুরাগ নদীতে৷ বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন৷ উদ্ধার করা হয় ১০ জনকে৷ তবে এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়৷ তার নাম মনোয়ারা খাতুন৷ সে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী৷ সোমবার বাসটি সনাক্ত করার পর আরো একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷

নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ভীড় বাড়ছে তুরাগের তীরে৷ তাদের কান্না আর আহাজারীতে বাতাস ভারী হয়ে উঠছে৷ কেউ কেউ নিজেরাই নৌকা আর ইঞ্জিন বোট নিয়ে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন তুরাগ নদীতে৷ পরিস্থিতি সামলাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন