1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃতীয় ওডিআই’তে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল দুই উইকেটে

১৯ জানুয়ারি ২০১১

একটি থ্রিলিং ওডিআই, এবং মূলত ইউসুফ পাঠানের ব্যাটিং’এর কল্যাণে৷ পাঠান পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে প্রথমবার মাঠে নেমেই ৫০ বলে ৫৯ রান করলেন৷ ভারত সিরিজে এগিয়ে গেল ২-১ ম্যাচে৷

https://p.dw.com/p/zzPU
ইউসুফ পাঠানছবি: AP

দক্ষিণ আফ্রিকার দুই অফ-স্পিনার জোহান বোথা এবং জেপি ডুমিনি'র তখন শোচনীয় অবস্থা, যেন বাঘে ধরেছে৷ নয়তো এই পিচ ব্যাটম্যানদের ফেবারে নয়৷ পাঠান এবং সুরেশ রায়না ষষ্ঠ উইকেটে ৭৫ রান যোগ না করলে ম্যাচ কোনদিকে যেতো, বলা যায় না৷ অবশ্য হরভজন সিং'এর ২৩ নট আউটও ছিল যাকে বলে কিনা ক্রুশিয়াল৷

তবে ২৮তম ওভারে ভারতীয় ইনিংসের চেহারাটাই বদলে যায়৷ পাঠান তখন ছ'রানে৷ বোথার একটি বলকে এজ করে উইকেটকীপার ডে ভিলিয়ার্স এবং স্লিপে ক্যাপ্টেন গ্রেম স্মিথের মধ্যে দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন৷ পরের ডেলিভারিতে পাঠানের সুইপ করে আরেকটি চার৷ পরের ওভারে ডুমিনির বলে পাঠানের আবার সুইপ এবং আবার বাউন্ডারি৷ এরপর পাঠান বোথার চারটি বলে তিনটি ছয় মারেন, তিনটিই ডীপ মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে৷

তাহলে বলতে হয় নিউল্যান্ডসের পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসম্যানরাই সফল হয়েছে: মর্নে মর্কেল নিয়েছেন তিন উইকেট, ২৬ রানে; ডেল স্টেইন দুই উইকেট, ৩১ রানে৷ সেক্ষেত্রে ইতিপূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস প্রায় ধসে যেতে বসেছিল, যদি না নবাগত ফঁসোয়া দু প্লেসিস এবং জেপি ডুমিনি ১১০ রান যোগ করে ভরাডুবি বাঁচাতেন৷ তবুও সব মিলিয়ে দাঁড়ায় ২২০ অল আউট৷ এর জন্য ভারতীয় বোলিং'কেই ধন্যবাদ দিতে হয়, বিশেষ করে হরভজন সিং যেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের জাদু করে রেখেছিলেন৷ ন' ওভার বল করে মাত্র ২৩ রান দিয়ে দু'টি উইকেট নেন৷ অবশ্য তা'তে বিরাট কোহলি'র স্লিপে দু'টি চমৎকার ডাইভিং ক্যাচেরও অবদান ছিল৷ জাহির খান নেন তিনটি উইকেট, ৪৩ রান দিয়ে৷ আউটফিল্ডে একটি আশ্চর্য ক্যাচ নিয়ে ডে ভিলিয়ার্সকে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ পাঠানোর কৃতিত্বও তাঁর৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক