1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তোপের মুখে ফেসবুক, নিরাপত্তায় পরিবর্তন

২৭ মে ২০১০

ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ ফেসবুকে সবচেয়ে বড় ইস্যু৷ ফেসবুকে কে আপনার ছবি দেখতে পাবে বা পাবেনা, কিংবা কে কে আপনার জন্মদিন দেখবে বা অবস্থান জানবে তা ঠিক করা নিয়েই যত বিপত্তি৷

https://p.dw.com/p/NYFv
ফাইল ফটোছবি: picture alliance/dpa

খালি চোখে ফেসবুকে দেয়া তথ্য হয়তো অনেকের কাছেই গুরুত্বহীন৷ বিশেষত, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীকে দেখা যায় – নিজের নাম, জন্মদিন থেকে শুরু করে ই-মেল, মোবাইল ফোন এমনকি বাড়ির ঠিকানাটা পর্যন্ত দিয়ে দিতে৷ আবার অনেকে পারলে একান্ত ব্যক্তিগত ছবিও তুলে দেন সাইটটিতে৷

বাংলাদেশ বা ভারতে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে বাড়তি চিন্তা খুব একটা না থাকলেও উন্নত বিশ্বে আছে৷ বিশেষ করে আপনার ব্যক্তিগত ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার হতে পারে বিজ্ঞাপনের কাজে, বাড়াতে পারে আপনার বিরক্তি৷ ফেসবুক থেকে আপনার পছন্দ-অপছন্দ জেনে সেই অনুযায়ী পাঠানো হতে পারে বিজ্ঞাপনী নানা অফার৷ এমনকি, আপনার জন্মদিনটি হতে পারে হ্যাকারদের জন্য লোভনীয় অস্ত্র৷ তাছাড়া ফেসবুকে দেয়া ছবি বা ভিডিও'র অপব্যবহারের কথাতো শোনা যায় হরহামেশাই৷

facebook Mark Zuckerberg headshot, as Facebook.com founder, photo on black
মার্ক জুকারবার্গছবি: AP

প্রশ্ন উঠতে পারে, এসবের সঙ্গে ফেসবুকের সম্পর্ক কী? সম্পর্ক আছে, কারণ কিছুদিন আগে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বা গোপনীয়তার কাঠামোয় পরিবর্তন এনেছিল৷ ফেসবুকের কথিত উদ্দেশ্য ছিল, সংস্থাটির ব্যবহারকারীদের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের সুযোগ আরো বাড়ানো৷ একইসঙ্গে নেটওয়ার্কিং এর পরিধি ছোট করে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি৷ কিন্তু, ফল হলো উল্টো৷ দেখা গেলো, নতুন নিরাপত্তা সেটিংস অনেকের কাছে বোধগম্য নয়৷ তার উপর এই সেটিংসে ‘লজ্জা নিবারণ' আগের চেয়ে বরং আরো কঠিন৷ মোটের উপর অভিযোগ উঠলো, ফেসবুক আসলে বিজ্ঞাপনদাতাদের মন জয় করতে ব্যবহারকারীদের তথ্য অনেকটা উন্মুক্ত করে দিয়েছে৷

ফলে যেটা হয়, খোদ ফেসবুকেই ব্যবহারকারীরা জানালো প্রতিবাদ৷ ফেসবুক ত্যাগের আহ্বান জানাতে তৈরি হলো অসংখ্য গ্রুপ৷ ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা'র কথা শোনালেন যে, ফেসবুক আর নিরাপদ নয়৷ কারণ ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকছে না সেখানে৷

ব্যবহারকারীদের এমন তোপের মুখে ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ স্বীকার করে নিলেন অল্প-বিস্তর বিপত্তির কথা৷ তবে, তাঁর ঘোর আপত্তি বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রসঙ্গে৷ মার্ক পরিষ্কার ভাষায় জানালেন, বিজ্ঞাপনদাতাদের মন জয় করতে ফেসবুকে পরিবর্তন আনা হয়নি৷ একইসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আবারো নতুন পরিবর্তনের কথা জানালেন তিনি৷ মার্কের দাবি, এবারের পদ্ধতি খুব সহজ৷ ফেসবুকে আপনার কোন তথ্য বা ছবি কারা দেখবে, কারা দেখবে না – তা চারভাগে ভাগ করে নেয়া যাবে৷ প্রথম ভাগটি হচ্ছে ‘সবাই', দ্বিতীয় ভাগ ‘বন্ধুদের বন্ধুরা', তৃতীয় ভাগে আছেন ‘শুধুই বন্ধুরা' আর চতুর্থ ভাগে ‘বাছাইকৃতরা'৷

শুনে মনে হচ্ছে, এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয়তো সত্যিই খানিকটা সহজ হবে৷ আর এই ব্যবস্থা ৪৫০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে আগামী জুন মাসের মধ্যে৷ এখন দেখা যাক, সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন কিনা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন