1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপোলিতে ন্যাটোর হামলা, মিসরাটা ছাড়ছে সরকারি বাহিনী

২৩ এপ্রিল ২০১১

লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাসভবনের পাশে হামলা চালিয়েছে ন্যাটো৷ এদিকে, মিসরাটা থেকে সরকারি সৈন্য সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে গাদ্দাফি প্রশাসন৷ তবে শনিবারও মিসরাটায় সরকারি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১০ জন৷

https://p.dw.com/p/112ww
লিবিয়া যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞছবি: dapd

ত্রিপোলিতে ন্যাটোর হামলা

সরকারি মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, বাব আল-আজিজিয়া ভবনের পাশে এই হামলায় অন্তত তিন জন নিহত হয়েছে৷ ধ্বংসপ্রাপ্ত জায়গাটিকে গাড়ি রাখার জায়গা বলে দাবি করেছে ত্রিপোলি৷ তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আপাত দৃষ্টিতে সেটিকে গুপ্ত সেনা ঘাঁটি বলে মনে হয়েছে৷ কারণ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ঐ ফাঁকা জায়গাটিতে মাত্র কয়েকটি গাড়ি রাখা থাকলেও সেনা মোতায়েন এবং কড়া পাহারা বসানো ছিল৷ এছাড়া লিবিয়ায় প্রথমবারের মতো ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানালো পেন্টাগন৷

মিসরাটা ছেড়ে আসার ঘোষণা

লিবিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম বলেছেন, ‘‘লিবিয়ার সেনা বাহিনীকে চরমপত্র দেওয়া হয়েছে যে, হয় তারা দ্রুত বিদ্রোহীদের সংঘাত থামাবে আর না হয় মিসরাটা ছেড়ে আসবে৷ যাতে করে জিলটেন, টারহুনা, বানি ওয়ালিদ এবং টাওয়ারঘা এলাকা থেকে উপজাতীয় প্রধানরা এসে বিদ্রোহীদের সাথে সমঝোতা আলোচনায় বসতে পারেন৷ তবে এরপরও যদি বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে৷'' অবশ্য সরকারের এই ঘোষণাকে ন্যাটোর অভিযানকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে একটি কূটচাল হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকে৷ কারণ সরকারি সেনারা মিসরাটা ছেড়ে যাচ্ছে এমন খবর শোনা গেলেও শনিবার মিসরাটায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র৷ এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৫০ জন৷ তবে শনিবার মিসরাটা গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত বলে বিদ্রোহীরাও টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন৷

NO FLASH Libyen Rebellen Kampf Panzerfaust
সশস্ত্র বিদ্রোহীদের একাংশছবি: picture-alliance/dpa

ম্যাককেইনের বেনগাজি সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া

এদিকে, লিবিয়ার আকাশে মনুষ্যবিহীন ড্রোন হামলার অনুমোদন দেওয়ায় ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ'এর অভিযোগ তুললেন মন্ত্রী খালেদ কাইম৷ মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন এর বেনগাজি সফরেরও সমালোচনা করেন কাইম৷ তিনি বলেন, ‘‘ট্রানজিশনাল ন্যাশনাল কাউন্সিল-টিএনসি লিবিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে না এবং ভূখণ্ডে তাদের কোন কর্তৃত্ব নেই৷'' তবে মার্কিন এই রাজনীতিকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বেনগাজি সফরে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি৷ এছাড়া লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সামরিক কর্মকর্তাদের পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স, ইটালি ও যুক্তরাজ্য৷ তবে তাঁরা লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধে যোগ দেবেন না বরং বিদ্রোহী যোদ্ধাদের কারিগরি, কৌশলগত ও সাংগঠনিক নির্দেশনা দেবেন৷

অন্যদিকে, ফ্রান্স, ইটালি এবং কাতারের পর এবার গাম্বিয়াও টিএনসি'কে লিবিয়ার একমাত্র বৈধ প্রতিনিধিত্বশীল পরিষদ হিসেবে স্বীকৃতি দিল৷ একইসাথে তারাও গাদ্দাফি প্রশাসনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান