1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থমথমে ব্যাংকক, অনড় সরকার বিরোধীরা

১১ এপ্রিল ২০১০

রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে থাকসিন সমর্থক রেড শার্ট প্রতিবাদকারীরা৷

https://p.dw.com/p/MtCg
ব্যাংককের একটি বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে রেড শার্ট-দের অবস্থানছবি: AP

শনিবারের সহিংস বিক্ষোভে রাজধানী ব্যাংকক থেকে একের পর এক প্রাণহানির খবর আসছে৷ রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২১-এ দাঁড়িয়েছে৷ এদের মধ্যে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক এবং চার জন সেনা সদস্য৷ নিহতদের মধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ক্যামেরাম্যান হিরো মুরামোতো রয়েছেন৷ তিনি জাপানের নাগরিক৷ ইতিমধ্যে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে থাই সরকারের কাছে৷ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৭০ ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

এদিকে শনিবার রাতেও ব্যাংকক ছাড়া একাধিক জায়গায় পুলিশ ও সেনাদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়৷ পুলিশ ও সেনাদের গুলিতে একের পর এক লোক প্রাণ হারিয়েছে৷ কিন্তু এরপরও বিক্ষোভ থামায়নি রেড শার্ট সমর্থকরা৷ বরং তাদের সহিংস বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়েছে৷ রাজধানী ব্যাংককের যে দুইটি জায়গায় রেড শার্ট সমর্থকরা দখর করে রেখেছিল সেখানে তারা অবস্থান অটুট রাখে৷ অবশেষে থাই সরকার পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে রোবারের মধ্যে সেসব জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়৷ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও সেনা সরিয়ে আনার জন্য চাপ দেওয়া হয় অভিসিৎ ভেজ্জাজিভার সরকারের ওপর৷

Thailand Proteste
সরকার বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছে থাকসিন সমর্থকরাছবি: AP

উল্লেখ্য, বিগত প্রায় দুই দশকে এই ধরণের রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা যায়নি থাইল্যান্ডে৷ সহিংস বিক্ষোভ ও রক্তপাতের পর শনিবার থাই সরকার বিরোধীদের প্রতি আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়৷ প্রধানমন্ত্রী অভিসিৎ ভেজ্জাজিভা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যে ক্ষয়ক্ষতি আজ হয়ে গেছে তার জন্য আমি জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি, বিশেষ করে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের কাছে৷'

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই দুঃখ প্রকাশেও বিরোধীদের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি৷ বরং তাদের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়েছে৷ এবং একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অভিসিৎ ভেজ্জাজিভার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে৷ বিরোধী নেতা ওয়েং তোজিরাকাম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আলোচনার সময় শেষ৷ আমরা খুনিদের সঙ্গে আলোচনা করি না৷ আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, বিক্ষোভে নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে রোববার কোন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে না৷

রাজনৈতিক এই সহিংসতা থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে বড় বিপর্যয় নিয়ে আসবে বলে আশংকা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা৷ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ড পর্যটন শিল্পের জন্য প্রখ্যাত৷ কিন্তু ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের থাইল্যান্ড ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: জাহিদুল হক