1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কোন সমঝোতা এলো না

৮ মে ২০১১

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কোন ধরণের সমঝোতা এল না আসিয়ান এর শীর্ষ বৈঠকে৷ এদিকে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা না করেই আগামী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন থাই প্রধানমন্ত্রী অভিসিত ভেজ্জাজিভা৷

https://p.dw.com/p/11Bkl
ছবি: AP

থাই-কম্বোডীয় সীমান্তে অবস্থিত একটি মন্দিরকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে পুরনো বৈরিতা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷ সীমান্ত এলাকায় উভয় পক্ষের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে গত এপ্রিল মাস থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আসিয়ানের শীর্ষ বৈঠকে এবার অন্যান্য বিষয়কে ছাপিয়ে গিয়েছে এই সীমান্ত সংঘর্ষের ইস্যুটি৷ দুই পক্ষই এখন পর্যন্ত অনড় রয়েছে তাদের নিজ অবস্থানে৷ আসিয়ানের দেশগুলো থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার নেতৃবৃন্দকে আপোষ করাতে ব্যর্থ হয়েছে৷ এই অবস্থায় শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়ে গেলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা রয়ে গেছেন জাকার্তায়৷

যদিও আসিয়ান মূলত একটি অর্থনৈতিক ফোরাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই ফোরামের নীতি রয়েছে সদস্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর৷ এরপরও থাই-কম্বোডীয় উত্তেজনা গোটা এলাকার অর্থনীতিতে একটি বিরূপ প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে৷ সেজন্য দুই পক্ষকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুশিলো বামবাং ইয়োধোয়োনো৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থই হয়েছে বলা চলে, যদিও শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে ইয়োধোয়োনো আসিয়ান সদস্যদের ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন৷

এদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা এখানে কেবল কথার যুদ্ধ চালাতে আসিনি৷ অন্যদিকে থাই প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শান্তি প্রতিষ্ঠা যাতে দুই দেশের মানুষ একসঙ্গে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারে৷

এদিকে সীমান্ত এলাকাতে এই উত্তেজনার মধ্যেই আগামী ৩ জুলাই পরবর্তী নির্বাচনের দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সম্মেলনের সাইডলাইনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা জানান৷ উল্লেখ্য, দেশের অভ্যন্তরে এই মুহুর্তে বিরোধী দলের ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থকদের আন্দোলনের মুখে টিকতে হলে তাকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে৷ আর এই মুহুর্তে সীমান্ত ইস্যুটি তার পক্ষে জনমত গঠনে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এছাড়া কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে থাকসিন সিনাওয়াত্রার সুসম্পর্কও নির্বাচনী মাঠে একটি ট্রাম্পকার্ড হতে পারে ভেজ্জাজিভার জন্য৷ যদিও ভেজ্জাজিভা জানিয়েছেন, সীমান্ত ইস্যুকে তিনি নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে দেখছেন না৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়