1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাই ছবি কান’এ পাম দ’র জিতল

২৪ মে ২০১০

ছবির নাম ‘‘বুনমি চাচা, যাঁর আগের জন্মের কথা স্মরণ আছে’’৷ পরিচালকের নাম আপিচাটপং ভীরাসেথাকুল, সংক্ষেপে নিজেকে ‘জো’ বলে থাকেন৷

https://p.dw.com/p/NVS8
পুরষ্কার গ্রহণের সময় আপিচাটপং ভীরাসেথাকুলছবি: AP

আপিচাটপং থাইল্যান্ডের বাঁধা গতের এ্যাকশন ফিল্ম স্টুডিও সিস্টেমের ধরাছোঁয়ার বাইরে৷ তাঁর ছবি হল আন্তর্জাতিক ফিল্ম সমঝদারদের জন্য৷ কান'এও তাঁর আসা-যাওয়া অনেকদিনের৷ ২০০২ সালে একটা ছোটখাটো পুরষ্কার পেয়েছিলেন ‘‘ব্লিসফুলি ইওর্স'' ছবিটার জন্য৷ তার দু'বছর বাদে জুরির পুরষ্কার পান ‘‘ট্রপিকাল ম্যালেডি'' ছবিটির জন্য৷

তাঁর এবারকার ছবিটির কাহিনী হল এই যে, এক হারানো ছেলে একটি মানুষপ্রমাণ বাঁদুরে ভূত হয়ে ফিরেছে৷ সেই সঙ্গে রয়েছেন এক হতশ্রী রাজকন্যে যিনি একটি কথা-বলা মাগুর মাছের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন৷ অথবা এক মৃত স্ত্রী যিনি তাঁর স্বামীকে ভালোবেসে পরলোকের পথ দেখাতে এসেছেন৷

একটি সুন্দর, দুর্বোধ্য স্বপ্ন

Regisseur Mahamat-Saleh Haroun Preis der Jury Cannes 63. Filmfestspiele Frankreich Gewinner
পুরষ্কার গ্রহণের পর মাহামত-সালেহ হারুনছবি: AP

কিন্তু এ' ধরণের ছবির সাফল্য, অসাফল্য নির্ভর করে দৃষ্টিকোণের উপরে৷ জুরিপ্রধান টিম বার্টনের মতে ‘আঙ্কল বুনমি' হল ‘‘একটি সুন্দর, দুর্বোধ্য স্বপ্ন''৷ বিশ্ব ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে এবং সারা বিশ্বে হলিউডের কায়দায় ছবি তৈরী হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে আপিচাটপং-এর ছবি যেন ‘‘অন্য কোনো দেশ এবং অন্য কোনো দৃষ্টিকোণ'' থেকে তোলা, অনুভব করেছেন বার্টন৷

‘হলিউড রিপোর্টার' পত্রিকার সমালোচকের মতে পুনর্জন্মের মূল ধারণাটাই হল সকল সত্তার একটি অভেদ্য এবং অবিচ্ছিন্ন রৈখিক অস্তিত্ব, যা কিনা সার্বিক এক চেতনার মধ্যে ঘটছে৷ এবং আপিচাটপং-এর কাছে সিনেমাও সেই ধরণের একটি মিডিয়াম, যেখানে অতীত-বর্তমান, অথবা মানবজগৎ এবং জীবজন্তু এমনকি ভূতপ্রেতদের জগতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব৷

একটি মানুষের চিৎকার

কান'এর জুরির পুরষ্কার কিন্তু এবার গেছে আফ্রিকার একটি প্রায় অজ্ঞাত, প্রায় অদৃশ্য দেশের চিত্রপরিচালক মাহামত-সালেহ হারুন'এর ‘‘এ স্ক্রিমিং ম্যান'' ছবিটির কাছে৷ এ' ছবির কাহিনী ততোধিক সহজ-সরল৷ চাড'এ গৃহযুদ্ধের পটভুমিতে তোলা ছবিটিতে এক চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু এখন হোটেলে সুইমিং পুলের দেখাশোনা করেন৷ কিন্তু হোটেলের নতুন চীনা মালিকরা চান, তিনি তাঁর চাকরি ছেড়ে দিন তাঁর ছেলের হাতে৷ এ' ছবিতে আছে আফ্রিকার জীবনের স্পন্দন৷ এবং হারুন স্বয়ং বলেছেন, ‘‘আমি যে দেশ থেকে আসছি, সেখানে বিশেষ কিছু নেই৷ সেই মরুভূমির মতো আঙ্গিকে আমি একটা জিনিষ শিখেছি: এমন ভাবে ফিল্ম তৈরী করবে, যেন তোমার প্রিয়জনদের জন্য রান্না করছ৷''

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই