1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শোচনীয় হার টাইগারদের

১৯ মার্চ ২০১১

২০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে আশাহত বাংলাদেশ৷ ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা৷

https://p.dw.com/p/10cVH
আশাহত এক সমর্থকছবি: picture-alliance/dpa

আর রবিবারের ম্যাচে বড় কোন বিপর্যয় না ঘটলে কোয়ার্টার ফাইনালে চতুর্থ দল হিসেবে থাকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা ও গ্রায়েম স্মিথ৷ ২১তম ওভারে দলীয় ৯৮ রানে স্মিথ আউট হন৷ তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৪৫৷ ৬৮ বলে ৪টি চার হাঁকান স্মিথ৷ ৫১ রান করে মাঠ থেকে বিদায় নেন আমলা৷ একদিনের ক্রিকেটে আমলার এটি ১৪তম অর্ধশতক৷ ৫৯ বলে তিনি ৬টি চার মারেন৷

এছাড়া ৬৯ রান তুলেছেন ক্যালিস৷ ৭৬ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি৷ মাত্র ১৭ রান নিয়ে বিদায় হন জেপি ডুমিনি৷ ৫২ বলে ৫২ রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস৷ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রবিন পিটারসন তোলেন ২২ রান৷ ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে মোট ২৮৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকার৷

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৮ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ছিলেন টাইগাররা৷ ২৮ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৮ রান করেন বাংলার দামাল ছেলেরা৷ দক্ষিণ আফ্রিকার ঝড়ো আঘাতে জর্জরিত টাইগাররা৷ তবুও সর্বোচ্চ ৩০ রান তুললেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান৷ নাইম ইসলাম এবং অপরাজিত রুবেল হোসেনের ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ৮ রান করে৷ ৫ রান করে তুলেছেন তামিম ইকবাল, শাহরিয়ার নাফিস এবং মোহাম্মদ মাহমুদুল্লাহ৷ ৪ রান করে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস৷ আর ৩ রান করে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহীম৷ জুনায়েদ সিদ্দিকী তোলেন ২ রান৷ শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে শাফিউল ইসলাম এবং আব্দুর রাজ্জাককে৷

বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল হোসেন ৫৬ রানে ৩ উইকেট এবং সাকিব নিয়েছেন ২ উইকেট ৪৬ রানে৷ অন্যদিকে, মাত্র ১২ রান দিয়ে একাই ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রবিন পিটারসন৷ ম্যাচ সেরা লনওয়াবো তসোতসোবে ৩ উইকেট নেন ১৪ রানে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: জাহিদুল হক