1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়, পাকিস্তান সেমিফাইনালে

১১ মে ২০১০

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেই হারানোটা দক্ষিণ আফ্রিকার একটা বিশেষত্ব, বৈশিষ্ট্য নয়৷ অপরদিকে ইংল্যান্ড দেখাল যে কেভিন পিটারসন ছাড়া দলের অন্যরাও ব্যাট ধরতে জানে৷

https://p.dw.com/p/NKoB
পাকিস্তান দলে উল্লাসছবি: AP

দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ার্ল্ড টোয়েন্টি-টোয়েন্টি থেকে এ'ভাবে বিদায় নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল কি? চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ড অতি চমৎকার বোলিং করে পাকিস্তানকে যে টোটালে আটকে রাখেন, তা তো ধরাছোঁয়ার মধ্যেই ছিল৷ কিন্তু ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকা যেরকম নুলো ধরা খেলা দেখাল, তা'তে জেতা যায় না, বিশেষ করে অন্যদিকে যদি সাইদ আজমলের দুসরা এবং সেই সঙ্গে উমর আকমল থাকে৷

ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম পর্যায়ের খেলাটার মতোই, দক্ষিণ আফ্রিকা বড় দেরীতে গাড়ির পেডালে চাপ দিয়েছে৷ তাদের ব্যাটিং লাইন-আপে বিশ্বের কিছু সেরা হিটার, কিন্তু ফলশ্রুতি প্রথম ১০ ওভারে তিনটি চার এবং তিনটি দুই৷ তা'ও ডে ভিলিয়ার্স ঝলসে ওঠার পর কিছুটা আশা দেখা দিয়েছিল, যেহেতু মার্ক বাউচার এবং এ্যালবি মর্কেল তখনও বাকি৷ দরকার ছিল শেষ চার ওভারে ৪৭ রান৷ কিন্তু পাকিস্তানের স্পিনারদের বিরুদ্ধে ও' কাজটা অতো সোজা নয়৷

অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররাও গোড়ায় পাকিস্তানকে ১৯ রানে তিন উইকেটে নামিয়ে দিয়েছিল - এই টুর্নামেন্টের নিকৃষ্টতম ওপেনিং৷ অবশ্য পাকিস্তানের টপ অর্ডার চিরকালই একটু নড়বড়ে৷ পরে আকমল ভাইরা ফায়ার ব্রিগেডের কাজ করে৷ আফ্রিদি আসার পর রানও আসতে থাকে৷ যদিও পাকিস্তান শেষ তিন ওভারে আবার শম্বুকগতি হয়ে দাঁড়ায়: মাত্র ১৬ রান৷ কিন্তু সাত উইকেটে ১৪৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১ রানে হারানোর জন্য ঐ যথেষ্ট৷

ওদিকে পাকিস্তান জেতার পর ইংল্যান্ড এমনিতেই সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই করে গেছে৷ তবুও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতার জন্য তারা ১৫০ রান ধাওয়া করছিল৷ অথচ ৬৬টিতেই চারটি উইকেট পড়ে যায়৷ পরে ইয়য়েন মর্গানের ৪০ আর লিউক রাইটের ২৪ মিলে পরিস্থিতি সামলে দেয়৷ অর্থাৎ কেভিন পিটারসন না থাকলেও ইংল্যান্ড জিততে পারে, সেটাই প্রমাণ হল৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম