1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট জয়

৩০ ডিসেম্বর ২০১০

১৯৯২ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৩টি টেস্টে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল ভারত৷ দেড় দিনেরও বেশি সময় হাতে থাকতেই ডারবানে দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮৭ রানে হারিয়েছে ভারত৷

https://p.dw.com/p/zrJb
ম্যাচের সেরা ভিভিএস লক্ষ্মণছবি: UNI

এ জয়ে সমতায় ফেরার পাশাপাশি তিন টেস্টের সিরিজে জয়ের সুযোগও ধরে রাখল সফরকারীরা৷ এজন্য অবশ্য কেপটাউন টেস্টে জিততে হবে ভারতকে৷ ২ জানুয়ারি কেপটাউনে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে মুখোমুখি হবে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুই দল৷

প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে সফরকারীদের হারিয়ে অতীতের কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় সেরা দক্ষিণ আফ্রিকা৷ কিন্তু ডারবানে এক নম্বরের মর্যাদা ফিরিয়ে আনল ভারত৷ কিংসমেডে স্বাগতিকদের সামনে ৩০২ রান টপকানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ভারত৷ চতুর্থ ইনিংসে তিনশোর্ধ রানের ভারে নুয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ জহির-শ্রীশান্থ-হরভজন ত্রয়ীর সামনে ২১৫ রান তুলতেই দম ফুরিয়ে যায় স্বাগতিকদের৷

আগের দিনের ৩ উইকেটে ১১১ নিয়ে খেলতে নেমে বুধবার ১০৪ রানের মধ্যেই বাকি ৭ উইকেট হারায় তারা৷ অ্যাশওয়েল প্রিন্স ম্যাচের উত্তাপ ধরে রাখার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তাঁর চেষ্টা সফল হয়নি৷ ৩৯ রানে অপরাজিত প্রিন্স৷ এটাই এ টেস্টে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস৷

বোলারদের এ টেস্টে রাজা কিন্তু ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ৷ প্রথম ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৯৬ রানের ইনিংস৷ এ টেস্টের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান তিনিই৷ ফলে ম্যাচসেরার পুরস্কারটি গেছে লক্ষ্মণের হাতেই৷ তবে ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, ‘‘এ জয়ের কৃতিত্ব দলের সবার৷ জহির-হরভজন দুর্দান্ত বোলিং করেছে৷ মোট কথা এটা দারুণ এক জয়৷''

২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে সর্বপ্রথম তারা ১২৩ রানে হারিয়েছিল স্বাগতিক প্রোটিয়াসদের৷ আর বাকি ১১টি টেস্টের মধ্যে সাতটিতেই হেরেছে ভারত৷ তবে ডারবানের পর ভারতকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করছেন গ্রায়েম স্মিথও৷ বললেন, ‘‘এক নম্বরের মতোই খেলেছে ভারত৷ তবে কেপটাউনেই হবে আসল লড়াই৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: জাহিদুল হক