1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ আফ্রিকায় নিরাপত্তার ভয় কাটছে

১৮ জুন ২০১০

ভালোয় ভালোয় খেলা দেখা যাবে তো? এ ভয়টা ছিলো বিশ্বকাপের আগে থেকেই৷ তবে প্রথম রাউন্ডের খেলা শুরু হতেই সে ভয়টা কাটতে শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/NupH
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও পরিস্থিতি মোটামুটি শান্তই রয়েছেছবি: AP

দুই-একটি অপ্রিয় ঘটনা যে ঘটছে না, তা নয়৷ তবে খেলা দেখতে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন, তারা বলছেন – না, সব কিছু ঠিকঠাকই আছে৷

আফ্রিকায় বিশ্বকাপ – সেটা এবারই প্রথম৷ নিরাপত্তা নিয়ে এত যে উদ্বেগ, সেটা মাথাব্যথার কারণ ছিলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকারও৷ কারণ সেখানকার বিভিন্ন শহরে হুট করেই দাঙ্গা বাঁধতে দেখা যায় হরহামেশাই৷ তা যেন না হয়, সেজন্য নামানো হয়, ৪৪ হাজার পুলিশ৷ স্টেডিয়াম তো বটেই, হোটেল-মোটেলগুলোতেও বসানো হয় কড়া পাহারা৷ খেলা চলার সময় মাঠের ভেতরের নিরাপত্তার জন্য ফিফা একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিলো৷ কিন্তু তাদের কর্মীরা ধর্মঘট ডাকায় পুলিশের ওপরই চাপে সে ভার৷ পুলিশ যে ভালোভাবেই কাজটি করতে পারছে, তা বোঝা গেল কয়েকজন দর্শকের কথায়ই৷

ইংল্যান্ড থেকে খেলা দেখতে এসেছেন জন৷ কেপটাউনে তার সঙ্গে কথা হয় সংবাদ সংস্থা ডিপিএ'র৷ জন বলেন, ‘‘প্রথমে অন্য সবার মতো আমারও ভয় ভয় লাগছিলো৷ কিন্তু তা কেটে গেছে৷ এখন কোনো সমস্যাই দেখছি না৷''

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নানান বর্ণের, নানান ভাষার যে সব মানুষ ভিড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়, পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখন মুখর তাদের পদচারণায়৷ ঘুরছেন, বেড়াচ্ছেন তারা৷ চেহারায় কোনো ভয়ডরের ছাপ দেখা যাচ্ছে না৷ তারা বলছেন, নিরাপত্তার দিক থেকে স্বাগতিকরা তাদের চেষ্টার কমতি রাখেনি৷ অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা ব়্যালফ বললেন, ‘‘শহরের বাইরে কিছু অঘটনের খবর পাওয়া যায়৷ তবে তাও ধরার মতো নয়৷ আমি মনে করি, যতটুকু ঘটছে, সংবাদ মাধ্যমে আসছে তা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে৷''

নিরাপত্তার বন্দোবস্ত থাকুক, তাতে আপত্তি নেই বিদেশিদের৷ তবে তা যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না যায়, তাই চান তারা৷ মেলবোর্ন থেকে আসা পল ও অরল্যান্ডো জানালেন এ নিয়ে তাদের অনুযোগের কথা৷ দুজনেই বললেন, আমাদের পই পই করে বলে দেওয়া হয়েছে, মাঠের বাইরে আমরা যেন ফিফার অ্যাক্রেডিটেশন ট্যাগ না পরি৷ তাহলে সন্ত্রাসীরা টার্গেট করতে পারে৷ এটা কী ধরনের কথা!

খেলা এগিয়ে যাচ্ছে, নিরাপত্তার শঙ্কাও কেটে যাচ্ছে, এতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের৷ এখন তাদের চাওয়া, শেষ পর্যন্ত যেন এই অবস্থাটাই থাকে৷ কারণ, সব ভালো তারই, যার শেষটা ভালো হয়৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন