1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গে বন শহরে সম্মেলন

২৭ জুলাই ২০১০

বন শহরে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে চার দিন ব্যাপী ইউরোপিয়ান কনফারেন্স অন মডার্ন সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ৷ এবারের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২১তম৷ দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান থেকেও এসেছেন অংশগ্রহণকারীরা৷

https://p.dw.com/p/OVJw
Indonesia, Banda Aceh, দক্ষিণ এশিয়া, বন, ইউরোপিয়ান, European, Bonn, South Asia
বন সম্মেলনে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার নানা সমস্যা আর সঙ্কটের চিত্র (ফাইল ছবি)ছবি: AP

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সম্মেলন আজকের নয় এর শুরু ১৯৬৮ সাল থেকে৷ এরপর থেকে প্রতি বছর বছর না হলেও দুই তিন বছর পর পর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে৷

১৯৯৭ সালে ইউরোপিয়ান সায়েন্স ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করে৷ এবারের ২১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বন শহরে, বন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে৷

ঢাকার বস্তি এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্যরক্ষার সমস্যা নিয়ে বললেন বাংলাদেশের মোবারক হোসেইন খান৷ সম্মেলনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, যখন আমি সম্মেলন সম্পর্কে জানতে পারলাম, দেখলাম যে এখানে স্বাস্থ্যের ওপর দুটি প্যানেলে কথা বলার সুযোগ রয়েছে৷ আমি তখন মনে করলাম যে, এখানে তাহলে বাংলাদেশের কিছু সমস্যার কথা হয়তো তুলে ধরতে পারি৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের বস্তিগুলোতে মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ সবকিছুই তুলে ধরা – তারা কেমন আছে, কীভাবে দিন কাটাচ্ছে – তা জানানোর একটি সুযোগ৷

এবারের সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন প্রায় ৪০০ জন স্বনামধন্য অধ্যাপক, লেখক, গবেষক, ভাষাবিদ এবং শিল্পী৷ সবমিলে প্রায় ৪১টি বিভিন্ন প্যানেলে তারা তাদের বক্তব্য রাখবেন৷ চলবে প্রশ্নোত্তর৷ আলোচনার বিষয় হিসেবে থাকছে দক্ষিণ এশিয়ার ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি বলিউডের নাচ-গানও৷

উদ্বোধনী দিনের একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হাসান আশরাফ৷ তিনি বললেন, মূলত ৭০-এর দশকের শেষে এবং ৮০-র দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যে নীতিমালা বা ধরা যাক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল যে পলিসি – সেটা কীভাবে পরিবর্তন হল সেটাই ছিল এই প্রেজেন্টেশনে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা