1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ায় পরিবেশ বান্ধব বাস চালু

১০ মার্চ ২০১০

পরিবেশ বান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করল দক্ষিণ কোরিয়া৷ কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি - কেএআইএসটি উদ্ভাবন করেছে এই পরিবহণ ব্যবস্থা৷

https://p.dw.com/p/MOQa
এমনভাবে বাসের উপরে বৈদ্যুতিক তার ঝুলবে না নতুন ব্যবস্থায়ছবি: Creative Commons

মঙ্গলবার রাজধানী সৌলের মেয়র ওহ সে-হুন এবং কেআইএসটি'র প্রেসিডেন্ট সুহ নাম-পয়ো আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন৷ ওহ এবং সুহ সহ বিশিষ্ট অতিথিবর্গ এই নতুন বাসে চড়ে সৌল গ্রান্ড পার্কের চারিদিকে ২.২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন৷ প্রাথমিক পর্যায়ে অনলাইন ইলেক্ট্রিক ভেহিকল - ওএলইভি নামের তিনটি বাস সৌলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিনোদন পার্কে রাখা হয়েছে৷

বাসের ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য পুরো রাস্তা বরাবর চারটি খণ্ডে ৪০০ মিটার বৈদ্যুতিক পাত বসানো হয়েছে৷ ‘রিচার্জিং রোড' এর উপর দিয়ে চলার সময় রাস্তায় পুঁতে রাখা বৈদ্যুতিক তারের ফালি থেকে চৌম্বকীয় পদ্ধতিতে শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে বাসগুলো৷ ওএলইভি বাসগুলোর নিচের দিকে থাকা ‘পিক-আপ' যন্ত্রাংশ রাস্তায় পুঁতে রাখা বৈদ্যুতিক পাতের সাথে সংস্পর্শ ছাড়াই শক্তি টেনে নিতে পারবে৷ এই শক্তি বাস চালনার কাজে ব্যবহৃত হবে কিংবা ব্যাটারিতে জমা থাকবে৷

Togo Bus Fußball Anschlag Flash-Galerie
ফাইল ছবিছবি: AP

এই নমুনা পরিবহণ ব্যবস্থা যদি সফল প্রমাণিত হয়, তবে রাজধানীর বাস রুটে এগুলো নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেআইএসটি'র৷ সৌলের বাস রুটগুলোতে ব্যবহার করতে হলে, বাস স্টপ, পার্কিং প্লেস এবং জংশনগুলোর মতো বাস রুটের ২০ শতাংশ স্থানে ভূ-নিম্নস্থ বৈদ্যুতিক পাত বসানো হবে৷ তারা জানিয়েছে, প্রচলিত বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলোতে ব্যবহৃত ব্যাটারির পাঁচ ভাগের একভাগ আকারের ব্যাটারি প্রয়োজন হবে ওএলইভি'র জন্য৷ যার ফলে এগুলো রিচার্জ হওয়াটা বেশ সহজতর হবে৷ এছাড়া প্রচলিত বৈদ্যুতিক ট্রাম কিংবা ট্রলি বাসের জন্য যেমন উপর থেকে বৈদ্যুতিক তার টাঙ্গাতে হয়, সেটিও লাগছে না এই নতুন পরিবহণ ব্যবস্থায়৷

কেএআইএসটি বলছে, প্রথম ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তখন এর কোন সুস্পষ্ট ফল পাওয়া যায়নি৷ সুহ বলেন, ‘‘বিশ্বের বৈদ্যুতিক যান-বাহনগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে অল্প ব্যয় সাপেক্ষ পরিবহণ৷ এর পরিচালনা ব্যয় প্রচলিত বৈদ্যুতিক যান-বাহনসমূহের তিন ভাগের এক ভাগ ৷'' সুহ আরো দাবি করেন যে, ‘‘জনসাধারণের চলাচলের জন্য এই প্রযুক্তির প্রয়োগের সুযোগ অসীম৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমি এও বলতে চাই যে, এটিই ২১ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত অর্জনের একটি৷'' এছাড়া আগামী নভেম্বরে সৌলে অনুষ্ঠিতব্য জি ২০ বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিদের এই নব উদ্ভাবিত বাসে করে পরিবহণ করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন সুহ৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী