1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৭ জন নতুন মন্ত্রী মনোনয়ন

৮ আগস্ট ২০১০

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর কিম তায়ে হো’কে৷ এবং মন্ত্রিসভায়ও বড় ধরনের পুনর্বিন্যাস করেছেন ৭ জন মন্ত্রীকে স্থলাভিষিক্ত করে৷

https://p.dw.com/p/Of0X
South Korea, president, Lee Myung-Bak, দক্ষিণ কোরিয়া, প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক,
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাকছবি: AP

২০০৮ সালের পর দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রিসভায় এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের পুনর্বিন্যাস৷ দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিরাজমান চূড়ান্ত উত্তজনার এই সময়ে প্রেসিডেন্ট লি তাঁর বর্তমান পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, এবং একত্রীকরণ মন্ত্রীদের স্থানে কোন ধরনের অদলবদল করেননি৷ এদিকে মনোনীত নতুন প্রধানমন্ত্রী কিম তায়ে-হো-র বয়স ৪৭৷ দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ যদি তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত করে তবে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী৷ হো ছিলেন দক্ষিণ গিওংসাং প্রদেশের গভর্নর৷

প্রেসিডেন্ট লি-এর নতুন মন্ত্রী তালিকায় রয়েছেন শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অর্থ, শ্রম, এবং বিশেষ সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী৷ লি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময় পার করেছেন৷ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হং সাং পিও বলেছেন, দর্শন নির্ভর নীতি সমন্বিত করে সরকারকে শক্তিশালী করায় এই পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্য৷ লি-এর রক্ষনশীল ক্ষমতাসীন দল জুনের কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলেও, সংসদের আটটি উপনির্চনের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে৷ যা অনেকেই আশা করেনি৷

এদিকে দেশের কয়েকটি প্রধান উন্নয়ন প্রকল্পে সংসদের অনুমোদন না পাবার কারণে গত মাসের শেষের দিকে পদত্যাগ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চু উন-চান৷ সৌলের হানিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক কিম মিন বলেছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে লি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের যথাস্থানেই রেখে দিচ্ছেন, যাতে তাঁর উত্তর কোরিয়া বিষয়ক রাজনীতিতে কোন পরিবর্তনের সুযোগ না থাকে৷ তিনি বলেন, সৌল এবং পিয়ংইয়ং-এর মধ্যেকার বৈরী সম্পর্ক এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভোটারদের চিন্তাভাবনা কোনটাই উত্তরের জন্যে সুখকর নয়৷ অধ্যাপক মিন বলেন, আমি মনে করি না যে পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি বদলানোর কোন সুযোগ আছে৷

গত মার্চে উত্তর কোরিয়ার একটি সাবমেরিন থেকে টর্পেডো মেরে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে, আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা এই বিষয়টি নিশ্চিত করে রিপোর্ট দেয়ার পর, প্রেসিডেন্ট লি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আংশিকভাবে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করা ছাড়াও আরো কিছু ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই