উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ফলাফলের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তার মাত্রা বোঝা গেছে, বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার৷
তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের অধিকাংশ পাঠক৷ উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী বিশ্লেষণ নিয়ে আমাদের ঢাকা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন ফেসবুকে শেয়ারের সময় একটি প্রশ্ন করা হয়৷ জানতে চাওয়া হয়, সুজন সম্পাদক ডয়চে ভেলেকে যা বলেছেন তার সঙ্গে পাঠকরা একমত কিনা৷ উত্তরে বেশিরভাগ পাঠক ‘হ্যাঁ' বলেছেন৷ মুস্তাফিজুর রহমান তরুণ বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সত্য কথাই বলেছেন৷''
তবে সুজন সম্পাদকের সঙ্গে একমত নন তোহা ভূঁইঞা৷ ‘‘না, আমি এর সাথে একমত নই, কারণ চেয়ারম্যান ইলেকশনে পার্টির চেয়ে যে দাঁড়ালো তাঁর জনপ্রিয়তা মুখ্য৷'' রমজান সরকারও তাই মনে করেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘না, কারণ সরকারি ও উপজেলা নির্বাচন আলাদা৷''
তন্ময় ভৌমিক লিখেছেন, ‘‘...আমি মনে করি কথাটি (সুজন সম্পাদকের) বোকা বা গাধার মতো কথা! উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতের চেয়ারম্যান ১৩টি ও ভাইস চেয়ারম্যান ২৩, মহিলা ১০টি জয়ী হয়েছে৷ স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে যদি মনে করা হয় জনপ্রিয়তা, তাহলে জামায়াতকে বলুন না এককভাবে জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচন করতে৷ দেখবেন ব্যক্তি জনপ্রিয়তা দিয়ে জয়ী হতে পারবে, তার বেশি নয়৷ আর বাংলাদেশে চির সত্য ঘটনা, দল একবার ক্ষমতায় গেছে দ্বিতীয়বার থাকতে পারে না ক্ষমতায়৷ কারণ ক্ষমতার অপব্যবহার ও অশিক্ষিত অজ্ঞ জাতি৷ এছাড়া কালো টাকা তো আছেই...৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ