1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দশজনের নাইজিরিয়াকে হারালো গ্রিস

১৮ জুন ২০১০

দশজনের নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে জয় পেলো গ্রিস৷ ফুটবল বিশ্বকাপে এটাই তাদের প্রথম জয়, স্বভাবতই এই জয়কে দলটি আখ্যা দিচ্ছে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে৷

https://p.dw.com/p/Nu6L
ছবি: AP

বৃহস্পতিবার ব্লুমফনটেইনে খেলার শুরুতে কিন্তু নাইজিরিয়াই ছিল শক্ত অবস্থানে৷ ১৬ মিনিটের মাথায় আফ্রিকান এই দলটির নতুন তারকা কালু উচে অসাধারণ ফ্রি কিকে গোল করেন৷ অসাধারণ বলছি এজন্য যে, তার শট এতটাই বাঁক খায় যে শুধু গোলরক্ষক নয়, বোকা বনেছে সব খেলোয়াড়ও৷

দুর্ভাগ্য নাইজেরিয়ার, ৩৩ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন মধ্যমাঠের সানি কাইটা৷ অপরাধ, গ্রিসের ভ্যাসিলিস টরোসাইডিসকে লাথি মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ আর তাই, রেফারি কাইটাকে লাল কার্ড দেখাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি৷

বিপত্তি অন্যত্র৷ খেলা শেষে নাইজিরিয়ার সুইডিশ কোচ লারস লাগেরব্যাক দাবি করেছেন, কাইটাকে লাল কার্ড পাওয়াতে বেশ খানিকটা নাটক করেছেন টরোসাইডিস৷ কেননা, টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কাইটা টরোসাইডিসের পায়ে লাথি মারলেও মাথা চেপে ধরে কাতরাচ্ছিলেন তিনি৷ অবশ্য, গ্রিসের জার্মান কোচ অটো রেহাগেল অস্বীকার করেছেন এই দাবি৷ বরং বলেছেন, লাল কার্ড পাওয়াতে কোন প্ররোচনা ছিল না৷

WM Südafrika 2010 Griechenland vs Nigeria Flash-Galerie
নাইজিরিয়ার জালে গ্রিসের বলছবি: AP

এই ঘটনার পরই বদলাতে থাকে খেলার চালচিত্র৷ রক্ষনশীল খেলা দেখানোয় সমালোচিত গ্রিস চলে যায় আক্রমণে৷ কোচ রেহাগেল রক্ষণভাগের সক্রাটিসকে তুলে নিয়ে আক্রমণে নামান সামারাসকে৷ এরপর ৪৪ মিনিটে ঐতিহাসিক গোলটি করে গ্রিস৷ পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে গ্রিস তারকা সালপিজিদিস এর নেয়া শট নাইজিরিয়ার হারুনার পায়ে লেগে ঢুকে যায় গোলে৷

দশজনের সুপার ইগল্সরা এরপরও অবশ্য খেলায় ফেরার চেষ্টা করে৷ তাদের একাধিক চেষ্টা শেষ পর্যন্ত গোলে ঢোকেনি৷ এরই মধ্যে খেলার ৭১ মিনিটে আরো একটি গোল হজম করে নাইজিরিয়া৷ দলের গোলক্ষক ইনিয়ামা গ্রিসের সিওলিস-এর একটি শট ফিরিয়ে দিলেও সেই বলে পা ছুঁইয়ে গোলটি তুলে নেন টরোসাইডিস৷

সাকুল্যে এই দলের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ খেতাবটি জিতেছেন নাইজিরিয়ার গোলরক্ষকই৷ সেটাই স্বাভাবিক৷ কেননা আগের ম্যাচের মতো, এবারও কয়েকটি অসাধারণ শট ঠেকিয়েছেন তিনি৷ নতুবা গ্রিসের জয়ের ব্যবধানটা অনায়াসে চারের ঘরে গিয়ে ঠেকতো৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী