1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দাঙ্গার জন্য দায়ী লেখাটি আমার নয়: তসলিমা

২ মার্চ ২০১০

ভারতের কর্ণাটকে একটি লেখার জের ধরে মুসলিমদের ধর্মীয় সহিংসতায় দু’জনের মৃত্যু এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আহত হওয়ার কথা জানিয়ে বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন মঙ্গলবার বলেছেন পত্রিকায় প্রকাশিত ওই লেখাটি তাঁর নয়৷

https://p.dw.com/p/MHb7
তসলিমা নাসরিনছবি: dpa

মুসলিম নারীদের পর্দাপ্রথা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য সম্বলিত একটি লেখা রোববার কর্ণাটকের শিমোগা শহরের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়৷ এর জের ধরে শহরে বিক্ষুব্ধ মুসলিমরা সহিংসতা শুরু করলে শিমোগায় পুলিশের গুলি এবং সহিংসতায় দুই ব্যক্তি নিহত হন৷ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী হাসান শহরেও৷ স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে কারফিউ জারির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ শিমোগায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং হাসানে বুধবার পর্যন্ত কারফিউ বাড়ানো হয়েছে৷

কিন্তু, ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, তসলিমা তাদেরকে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, কর্ণাটকের পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটি তাঁর নয় এবং তিনি কর্ণাটকের কোনো পত্রিকার জন্য কখনোই কিছু লেখেননি৷

তসলিমা বলেছেন, ‘‘কর্ণাটকে সোমবার ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমি মর্মাহত হয়েছি৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি যে কর্ণাটকের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত আমার একটা লেখা থেকে নাকি এটা উসকে উঠেছে৷ কিন্তু, আমি আমার সারা জীবনে কর্ণাটকের কোনো পত্রিকার জন্য কিছু লিখিনি৷''

এই লেখিকা আরও বলেন,‘‘আমার কোনো লেখায় আমি কোনোদিনও বলিনি যে নবী মোহাম্মদ বোরখার বিরুদ্ধে ছিলেন৷ তাই এটা অবশ্যই একটা অতিরঞ্জিত লেখা৷''

তসলিমা বলেছেন,‘‘আমাকে কলুষিত করা এবং আমার লেখার অপব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করার উদ্দ্যেশ্যেই এটা করা হয়েছে বলে আমার সন্দেহ৷''

মৌলবাদীদের হুমকির কারণে ২০০৮ সালে ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তসলিমা৷ সম্প্রতি ভারতে ফিরে এলেও গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ভারত তাঁর ভিসার মেয়াদ আর বাড়াবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে৷

তসলিমা তাঁর বহুলপঠিত এবং বিতর্কিত উপন্যাস ‘লজ্জা' এবং অন্যান্য রচনার জন্য মৌলবাদীদের হুমকির কারণে ১৯৯৪ সালে জন্মভূমি বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন৷ এরপর প্রায় ১০ বছরই ইউরোপ এবং আমেরিকায় কাটান৷ ২০০৪ সালে ভারত তাঁকে ‘অস্থায়ী আবাসিক অনুমতি' দিলে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি৷

বর্তমানে ভারতের রাজধানী নতুনদিল্লির অজ্ঞাত স্থানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ নিরাপত্তায় অবস্থান করছেন এই লেখিকা৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক