1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দারিদ্র্য দূরীকরণ

কাটিয়া ড্যোনে/এসি৮ ডিসেম্বর ২০১৫

গরিব বলতে মানুষ কতো গরিব হতে পারে? প্যারাগুয়ের একটি এনজিও গাঁয়ের মানুষদের নিজেদেরই নির্ধারণ করতে বলে, তাঁরা কতোটা গরিব এবং ঠিক কোথায় গরিব৷ তারপর শুরু হয় দারিদ্র্য দূরীকরণ৷

https://p.dw.com/p/1HIbU
ছবি: DW/D. Heinrich

গরিব বলতে মানুষ কতো গরিব হতে পারে? প্যারাগুয়ের একটি এনজিও গাঁয়ের মানুষদের নিজেদেরই নির্ধারণ করতে বলে, তাঁরা কতোটা গরিব এবং ঠিক কোথায় গরিব৷ তারপর শুরু হয় দারিদ্র্য দূরীকরণ৷

প্যারাগুয়ের রাজধানী আসুনসিয়ন থেকে গাড়িতে আধ ঘণ্টা লাগে সান লোরেন্সো যেতে৷ এখানে দু'লাখ সত্তর হাজার মানুষের বসবাস, তাদের অনেকেরই অস্তিত্ব দারিদ্র্যসীমার নীচে৷ যেমন মার্টা মেসা একটি রেস্টুরেন্টের মালিক৷ একটি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে তিনি এই দোকানটি খোলেন কয়েক বছর আগে৷ মার্টা বলেন, ‘‘এম্পানাদা, অন্যান্য খাবারদাবার, স্ন্যাক্স, কোল্ড ড্রিঙ্কস, সন্ধ্যেয় হ্যামবার্গার পর্যন্ত৷ আমি চব্বিশ ঘণ্টা এখানে থাকি৷ এটা একসঙ্গে আমার বাড়ি আর দোকান৷''

মার্টা মেসা-র দোকান ভালোই চলেছে, যদিও তিনি ঠিক বড়লোক হয়ে ওঠেননি৷ ন্যান্সি রামোস নিয়মিতভাবে সেখানে গিয়ে দেখেন, মার্টার পরিস্থিতির কীভাবে উন্নতি করা যায়৷ ন্যান্সি প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশন-এর হয়ে কাজ করেন৷ এই সংস্থাটি একাধিকবার মার্টার ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে৷ ন্যান্সি সবসময়েই তাঁর ট্যাবলেট সঙ্গে নিয়ে আসেন – এছাড়া একটি জরিপের কাগজ, যাকে তিনি ‘দারিদ্র্যের ট্র্যাফিক লাইট' নাম দিয়েছেন৷ ন্যান্সি বলেন: ‘‘আমি যখন একটি পরিবারকে জিজ্ঞাসা করি: তোমরা কি গরিব? অনেক সময় তারা উত্তরই দিতে পারে না; কথায় বোঝাতে পারে না, তারা কতোটা গরিব৷ আমাদের ট্র্যাফিক লাইট সিস্টেম দিয়ে আমরা ধাপে ধাপে বার করে নিই, তাদের দারিদ্র্যটা কোথায়৷''

দারিদ্রের লাল-সবুজ-হলদে

মূল কথা হল, মার্টা মেসা তাঁর নিজের অবস্থা নিজেই পরীক্ষা করেন, আর্থিক সঙ্গতি থেকে স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি৷ ন্যান্সি সঠিক প্রশ্নগুলি করেন৷ ন্যান্সি বোঝালেন: ‘‘এখানে যেমন আমরা সঞ্চয়ের ইন্ডিকেটরটা নিয়েছি৷ এই ছবিটার মানে হল, এই পরিবারটির কোনো সঞ্চয় নেই৷ এই ছবিটার মানে হল, এরা মাঝেমধ্যে কিছুটা বাঁচিয়ে থাকেন৷ আর এই পরিবারটি মাস ছয়েক ধরে সঞ্চয় করছে৷''

লক্ষ্য হলো, লাল থেকে হলদে হয়ে সবুজে পৌঁছনো৷ এই সব রং থেকে প্রতিবার বোঝা যায়, কোথায় প্রগতি হয়েছে, কোথায় ঘাটতি রয়েছে৷ মার্টা মেসা-র ক্ষেত্রে তাঁর স্নানের ঘরটি এখনো লালের ঘরে৷ মার্টা জানালেন: ‘‘আমার সবচেয়ে বেশি দরকার হল, একটা নতুন বাথরুম৷ এখানে সব কিছু আরো নতুন, আরো আধুনিক হওয়া দরকার, দেয়াল, মেঝে, সব কিছু আরো ভালো হওয়া চাই, আমার পরিবারের জন্য, আমার ছেলের জন্য৷''

পরের কয়েক সপ্তাহ ধরে সেটাই হবে লক্ষ্য৷ মার্টার নথির জন্য আর একটি ছবি তুললেই মার্টা আর তাঁর সমস্যার রেকর্ড রয়ে গেল৷ ন্যান্সি যখন পরের বারে আসবেন, তার আগে অগ্রগতি ঘটা চাই৷

রোজগারের পন্থা

প্যারাগুয়ের মানুষদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দারিদ্র্যে জীবন কাটান৷ কয়েক বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল অনেক বেশি৷ রোজগারের অপরাপর পন্থা সৃষ্টির প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে, বলে মনে হয়৷ প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশন ঠিক সেই পন্থাতেই কাজ করে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে৷ ন্যান্সি জানালেন: ‘‘আমরা নানা রকম রোজগারের পন্থা উদ্ভাবন করতে সাহায্য করি, যেমন ছোট ব্যবসা৷ ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমেও সেটা করা হয়৷ মহিলারা এ ভাবে সরাসরি ও তাড়াতাড়ি টাকা রোজগারের সুযোগ পান৷''

হোসেফা হিমেনেস এখানেই বাস করেন৷ গত তিন মাস ধরে তিনি এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট৷ তাঁর ব্যবসা হল সাবান তৈরি করা৷ প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশন-এর সাহায্যে সাবান তৈরি একটা ভালো ব্যবসা হয়ে উঠেছে৷ হোসেফা জানালেন: ‘‘আমি সাবান কিনি প্যারাগুয়ে ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে, তারপরে সেটা মিশিয়ে বিক্রি করি৷ খুব ভালোই বিক্রি হয়৷'' ন্যান্সি রামোস-ও মাঝেমধ্যে এখানে এসে হোসেফা-র সঙ্গে তাঁর অবস্থা নিয়ে কথা বলেন৷ হোসেফা-রও একটা স্বপ্ন আছে: ‘‘আমি একটা নতুন রান্নাঘর চাই, সেটাই হল আমার স্বপ্ন৷ আমি সেটাকে বাস্তব করতে চাই৷''

হোসেফা আপাতত খোলা আকাশের নীচে রাঁধেন৷ তবে শীঘ্রই এই পরিস্থিতি বদলে যাবে, বলে আশা করা যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান