1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দায় শোধ করতে জরুরি ঋণ চাইলো গ্রিস

২৪ এপ্রিল ২০১০

বড় ধরণের আর্থিক বিপর্যয় এড়াতে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ঋণ সহায়তা চেয়েছে ইইউর সদস্য দেশ গ্রিস৷ তবে ঋণ সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে জার্মানি এখনও কোন ইতিবাচক সাড়া দেয়নি৷

https://p.dw.com/p/N5CE
গ্রিক অর্থ মন্ত্রী জর্জ পাপাকন্সটানটিনৌছবি: AP

কঠিন আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়া গ্রিস এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত৷ এই ঋণ শোধ করার জন্য ইতিমধ্যে দেশটির পক্ষ থেকে ৪৫ বিলিয়ন ইউরোর একটি আর্থিক উদ্ধার প্যাকেজ চাওয়া হয়েছে ইইউ এবং আইএমএফ এর কাছে৷ শুক্রবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রেউ এক টিভি ভাষণে জানান এই আর্থিক সহায়তা জাতীয় প্রয়োজনেই দরকার৷ অপরদিকে গ্রিক সরকারের অর্থ মন্ত্রী জর্জ পাপা কন্সটানিনৌ জানিয়েছেন যে এই সহায়তা ইতিমধ্যে বাস্তবায়নের পথে রয়েছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা চলে আসবে৷ মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই গ্রিক সরকার আর্থিক সহায়তা চাওয়ার ঘোষণা দেয়৷ ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আমাদেও আলতাফাজ জানান, ‘কত অর্থ লাগবে তা বলা হয়েছে, এর প্রক্রিয়াও প্রস্তুত রয়েছে৷ ইউরো জোনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সবকিছুই যথাযথভাবে করা হয়েছে৷'

Angela_Merkel_Germany_Chancellor_California_CAMD105_402295316042010.jpg
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: AP

ইইউর এই ৪৫ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলে প্রথম বছরে সুদের হার রাখা হবে মাত্র পাঁচ শতাংশ৷ তিন বছরে এই সহায়তা দেওয়া হবে৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জোসে মানুয়েল বারোসোও এই আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে ইতিবাচক মত দিয়েছেন৷ কিন্তু এই এখনও একমত হতে পারছে না ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানি৷ শুক্রবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি যে, এই ধরণের হস্তক্ষেপ হতে হবে কঠিন শর্তের মধ্য দিয়ে৷ এর অর্থ হচ্ছে এই, যে সর্বপ্রথমে এই উদ্ধার প্রকল্পের ব্যাপারে গ্রিস, ইইউ এবং আইএমএফ এর মধ্যে একটি কার্যকর আলোচনা হতে হবে৷ আমি গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে এটাতে সময় লাগবে৷ দ্বিতীয়ত, যদি এই প্রকল্পের ব্যাপারে ঐকমত্য হয় তাহলে ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আইএমএফকে খতিয়ে দেখতে হবে যে এই উদ্ধার প্রকল্প ইউরোকে স্থিতিশীল রাখে কিনা৷'

জার্মান চ্যান্সেলর তাঁর মত দিয়ে বলেছেন, এই দুটি বিষয় খতিয়ে দেখার পরই গ্রিসকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে৷ প্রসঙ্গত, গ্রিসকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে বরাবরই অনিচ্ছা প্রকাশ করে আসছে জার্মানি৷

পর্যবেক্ষকদের মতে, গ্রিসের অর্থনীতিতে আইএমএফ এর হস্তক্ষেপ গোটা ইউরোজোনের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার