1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপির জোর তৎপরতা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৮ জুলাই ২০১৪

রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান ঘটিয়ে দিল্লিতে সরকার গড়া নিয়ে কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে চলেছে জল্পনা৷ অমিত শাহ বিজেপি-র নতুন সভাপতি হবার পর দিল্লিতে সরকার গড়তে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি৷

https://p.dw.com/p/1Cedh
ছবি: UNI

আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে দিল্লিতে কোনো দল সরকার গড়ার দাবি না জানালে রাষ্ট্রপতির শাসনের মেয়াদ বাড়ানো হবে৷ তাই শুরু হয়ে গেছে সরকার গড়ার তৎপরতা৷ দিল্লি বিধানসভার ২০১৩ সালের নির্বাচনে সরকার গড়ার মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গড়তে রাজি হয়নি বিজেপি৷

অমিত শাহ দলের নতুন সভাপতি হয়ে রাতারাতি ভোল পালটে দিলেন বিজেপি-র৷ ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনে অসাধারণ সাফল্যে দলের আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে৷ কেন্দ্রশাসিত দিল্লির সাতটি সংসদীয় আসনের সব ক'টিতেই বিজয়ী হয়েছে বিজেপি৷ এবার তাই দিল্লিতে বিজেপি সরকার বসাতে অমিত শাহ হাত বাড়িয়েছেন৷ কিন্তু দিল্লি বিধানসভার মোট ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপির ছিল ৩১টি আসন৷ সংসদীয় নির্বাচনে তিনজন বিজেপি বিধায়ক সাংসদ হলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ২৮ অর্থাৎ সরকার গড়তে আরো ছয়জন বিধায়ক দরকার৷ জোটসঙ্গি আকালি দলে একজনকে নিয়ে৷

Amit Shah Chef von Regierungspartei BJP
বিজেপি-র নতুন সভাপতি অমিত শাহছবি: picture-alliance/dpa

কাজেই রাজনৈতিক পাশা খেলার চেনা ছক অনুযায়ী শুরু হয়েছে বিপক্ষ দলের বিধায়কদের কেনাবেচার নেপথ্য চেষ্টা, এমনটাই অভিযোগ করছেন আম আদমি পার্টির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ তাঁর প্রচার অনুযায়ী, বিধায়ক কিনতে বিজেপি ২০ কোটি টাকার দেবার টোপ দিয়েছে৷ তার সঙ্গে মন্ত্রিত্ব৷ এই অভিযোগ নিয়ে আম আদমি পার্টির এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছেন৷

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়ে বলেন, সরকার গড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে ফিরলে নেয়া হবে৷ দিল্লির রাজনৈতিক অলিন্দ মনে করছে, মোদী এলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে দলের সভাপতি মোদীর ডান হাত অমিত শাহের অনুমতিক্রমেই৷ বিজেপির দিল্লি শাখার সভাপতির মতে, দলের একাংশ নতুন নির্বাচনের বিরোধী৷ তিনি বলেন, চরম হতাশা থেকেই এই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন কেজরিওয়াল৷ উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে আম আদমি পার্টি দিল্লিতে সরকার গড়ার পর ৪৯ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরিওয়াল ইস্তফা দিলে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন বলবৎ হয়৷ এই পলায়ন মানসিকতাকে ব্যঙ্গ করে কেজরিওয়ালের নির্বাচন কেন্দ্রে এই মর্মে পোস্টার পড়েছে, যে তিনি তাঁর কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের সুরাহা না করে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন৷ সচিত্র পোস্টারে তাই লেখা ‘খোঁজ চাই, কেজরিওয়াল নিরুদ্দেশ'৷

কংগ্রেসও বিজেপির বিরুদ্ধে অনুরূপ ‘হর্স-ট্রেডিং'-এর অভিযোগ এনে বলেছে, ক্ষমতার লোভে বিজেপি সব কিছুই করতে পারে৷ কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকা সত্ত্বেও দিল্লি বিধানসভার নতুন নির্বাচনে যেতে ভয় পাচ্ছে কেন বিজেপি? আসলে কংগ্রেস মনে করে বিজেপির ‘আচ্ছা দিন'-এর স্লোগানের বেলুন থেকে ক্রমশই হাওয়া বেরিয়ে যাচ্ছে৷ জনপ্রিয়তার মাত্রা কমের দিকে৷ কারণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই৷ আম জনতা নাজেহাল মূল্যবৃদ্ধির কোপে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য