1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইনমন্ত্রীকে নিয়ে জলঘোলা

,অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি,২৪ জানুয়ারি ২০১৪

দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের আইনমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক যেদিকে মোড় নিতে চলেছে, তার মোকাবিলার পথ খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল দেখা করেন দিল্লির উপ-রাজ্যপালের সঙ্গে৷ বিভিন্ন মহিলা সংগঠন আইনমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1AwHo
ছবি: UNI

দিল্লির আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে কংগ্রেস, বিজেপি এবং মহিলা সংগঠনগুলি৷ এই দাবি নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়করা দিল্লির উপ-রাজ্যপাল নাজীব জঙের সঙ্গে মিলিত হন৷ যে ঘটনাকে ঘিরে আইনমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি উঠেছে, সেই ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে দিল্লির এক দায়রা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি. এল গর্গের নেতৃত্বে এক বিচার বিভাগীয় কমিশন৷ মহিলা সংগঠনগুলির এক বিশেষ প্যানেলও ঐ ঘটনার তদন্ত করবে আলাদাভাবে৷ ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করা হবে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও দেখা করেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল নাজীব জঙের সঙ্গে৷

আইনমন্ত্রী ভারতীকে নিয়ে যেভাবে জল ঘোলা হচ্ছে, তাতে আম আদমি পার্টির সরকারের কাছে উনি এক বোঝা হয়ে পড়েছেন৷ বিপাকে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল৷ এর একটা সন্তোষজনক বিহিত করতে না পারলে মার খাবে আম আদমি পার্টির জাতীয় স্তরে জনসমর্থন৷ আইনমন্ত্রীর সমর্থনে দু'দিনের ধরনার কারণে আমজনতাকে যেভাবে নাকাল হতে হয়, তাতে কেজরিওয়ালের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে নাগরিক সমাজ অখুশি৷

আইনমন্ত্রী ভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এক নয়, একাধিক৷ আইনমন্ত্রী হয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে হেয় করা, অশালীন ভাষা ব্যবহার করা এবং আইনমন্ত্রী হিসেবে মহিলা নিগ্রহের সাক্ষী থাকা৷ ১৫ই জানুয়ারির মধ্যরাতে দক্ষিণ দিল্লির এক পাড়ায় আফ্রিকান নাগরিকের বাড়িতে ঢুকে তল্লাসি চালায় তাঁর দলের লোকেরা৷ তাতে উগান্ডার কয়েকজন মহিলাকে হেনস্থা হতে হয়৷

উগান্ডার পাঁচজন মহিলা আইনমন্ত্রী ভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন দিল্লির মহিলা কমিশন এবং পুলিশের কাছে৷ আইনমন্ত্রীর সন্দেহ, ঐ বাড়িতে অবাধে পুলিশের নাকের ডগায় চলে ড্রাগ ও দেহব্যবসা৷ এর আগে, আইনমন্ত্রী পুলিশকে ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিলে পুলিশ জানায় বিনা ওয়ারেন্টে তা করা সম্ভব নয়৷ সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের সাসপেন্ড করার ইস্যু নিয়ে কেজরিওয়াল সরকার এবং দিল্লি পুলিশের মধ্যে শুরু হয় সংঘাত৷ কারণ দিল্লি পুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে৷

Arvind Kejriwal Parteiführer Aam Aadmi Party in Indien
এমন চলতে থাকলে আম আদমি পার্টির জাতীয় স্তরে একটা রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠার স্বপ্ন মাঠে মারা যাবেছবি: UNI Photo service

দ্বিতীয় অভিযোগ তিনি নাকি অরুণ জেটলির মতো বিজেপির শীর্ষ নেতা এবং হরিশ সালভের মতো নাম করা আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে ‘‘মুখে থুথু দেয়ার'' মতো অভব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন এমনটাই বলা হচ্ছে৷ আইনমন্ত্রী ইস্তফা দিলে অন্তত এই বার্তা যাবে যে, কেজরিওয়াল নিজেদের ভুল সংশোধনে পিছ পা নয়৷ ভারতীর আচার আচরণে মধ্যবিত্তদের কিছুটা হলেও মোহভঙ্গ হোয়েছে৷ তবে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের আস্থা আছে অটুট৷ রাস্তার রাজনীতি ছেড়ে আন্তরিকভাবে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালনের শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে না পারলে সেটাও হারাবে আম আদমি পার্টি৷ জাতীয় স্তরে একটা রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠার স্বপ্ন মাঠে মারা যাবে৷