1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দীপেশ চক্রবর্তীর আকর গ্রন্থের জার্মান ভাষান্তর

১০ জানুয়ারি ২০১১

উত্তর-উপনিবেশবাদের ইতিহাস ভাবনার ক্ষেত্রে দীপেশ চক্রবর্তীর ‘‘প্রভিন্সিয়ালাইজিং ইউরোপ’’ এক আকর গ্রন্থ হিসেবে আদৃত৷ এই গ্রন্থের জার্মান ভাষান্তর প্রকাশিত হয়েছে খুব সম্প্রতি৷ সাপ্তাহিক ‘ডি ৎসাইট’ পত্রিকায় তারই বিশদ আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/zvLj
জার্মান গণমাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া (প্রতীকী ছবি)ছবি: dpa

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেণ্য অধ্যাপক দীপেশ চক্রবর্তী হলেন উত্তর-উপনিবেশবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিকদেরই একজন৷ যাঁর নাম এডওয়ার্ড সাঈদ, হোমি ভাবা, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক প্রমুখের সঙ্গে একত্রে উচ্চারণযোগ্য, লিখেছেন কনস্টান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নব্য ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ইউর্গেন ওস্টারহামেল৷

কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের স্নাতক দীপেশ চক্রবর্তী পরবর্তীকালে নিজের ভাবনা ও গবেষণার জগতকে থিতু করেছেন ইতিহাসবীক্ষায়৷ ২০০০ সালে প্রথম প্রকাশিত ‘‘প্রভিন্সিয়ালাইজিং ইউরোপ: পোস্টকলোনিয়াল থট অ্যান্ড হিস্টরিক্যাল ডিফারেন্স'' গ্রন্থটি তাঁর সেই বীক্ষণেরই ফসল৷ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তা ইতিহাসবেত্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যাপকভাবে৷ শুরু হয় বিশ্বব্যাপী আলোচনা সমালোচনা৷ ২০০৭ সালে লেখকের নতুন ভূমিকা নিয়ে বেরোয় গ্রন্থের নবতর সংস্করণ৷ ইটালিয়ান, স্প্যানিশ, ফরাসি সহ বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে ‘সাবল্টার্ন স্টাডিজ' ইতিহাস ঘরানার সহপ্রতিষ্ঠাতা দীপেশ চক্রবর্তীর এই ইউরোপ-ভাষ্য৷

হামবুর্গ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘ডি ৎসাইট' পত্রিকার সংস্কৃতি ও সাহিত্য বিভাগে অর্ধ পৃষ্ঠা জুড়ে প্রফেসর ওস্টারহামেলের প্রতিবেদন দীপেশ চক্রবর্তীর গ্রন্থ নিয়ে৷ তাঁর অনুযোগ, জার্মান সংস্করণে স্থান পেয়েছে কয়েকটি নির্বাচিত অধ্যায় মাত্র৷ তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই বলে যে, এই অধ্যায়গুলোও গ্রন্থের সেরা অধ্যায় নয়৷ তবে এতে স্থান পেয়েছে লেখকের একটি সাক্ষাৎকার এবং নতুন কিছু লেখা৷ ওস্টারহামেল অবশ্য তাঁর নিবন্ধে লিখেছেন: অনূদিত অধ্যায়গুলো থেকে মৌলিকতার শক্তি সমৃদ্ধ এমন এক ভাবুককে আমরা পাই মার্ক্স, হাইডেগার আর রবীন্দ্রনাথের মাঝে যাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ৷ ...চক্রবর্তী মধ্যপন্থী৷ ইউরোপের ক্ষমতার যে আকাঙ্ক্ষা, এনলাইটেনমেন্ট আর লিবারেলিজমকে তারই সহযোগী হিসেবে দেখতে তিনি নারাজ৷ সমাপ্তি অধ্যায়ে উত্তর-উপনিবেশবাদকে বিদায় জানানোটা বেশ অবাক করে দেয়৷ চক্রবর্তী অবশ্য আমাদের মনে প্রতীতি জন্মিয়ে এই ব্যাখ্যা করেছেন যে আসন্ন জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে কেন উপনিবেশবাদের ফলাফলগুলো গুরুত্ব হারিয়ে ফেলছে৷ ইতিহাসবিদের দায়িত্ব তাই ‘‘মানবিক ইতিহাস আর প্রকৃতির ইতিহাসের মধ্যকার দেয়ালটি ভেঙে ফেলা''৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ