1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দীর্ঘজীবী হওয়ার উপায়

২৪ ডিসেম্বর ২০১৩

হাতের কাছেই মহৌষধ৷ জাপানের মানুষ তা না জেনে খেয়ে চলেছেন ফাস্টফুড৷ তাতে রোগব্যাধি বাড়ছে, আয়ুও কমছে৷ এক বিজ্ঞানী ২০ বছর গবেষণার পর দাবি করেছেন, মানুষকে দীর্ঘায়ু করার মহৌষধের সন্ধান তিনি পেয়ে গেছেন৷

https://p.dw.com/p/1AfHx
ছবিটি ‘গেটো’র নয়, তবে সেটা আদা পরিবারের একটি গাছছবি: Fotolia/awiec

ওষুধটা তেমন কিছুই নয়, এক ধরণের গাছ৷ আদা পরিবারের এই গাছ ‘আলপিনিয়া জেরুমবেট' নামে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের কাছে পরিচিত৷ জাপানের ওকিনাওয়া অঞ্চলের মানুষ একসময় খাদ্য তালিকায় কোনো না কোনোভাবে এই গাছটা রাখতো৷ জাপানিদের কাছে সেই থেকেই গাছটির নাম ‘গেটো'৷

শিনকিচি তাওয়াদা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গবেষণা করছেন এই গেটো নিয়ে৷ ইউনিভার্সিটি অফ রাইউকিয়ুসের কৃষিবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক মনে করেন, গেটো সবাই খুব খেতো বলে টানা কয়েক দশক ওকিনাওয়া অঞ্চলের মানুষ বিশ্বের যে-কোনো এলাকার মানুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচতো৷ কিন্তু হালে সেখানকার মানুষ ফাস্টফুডের দিকে ঝুঁকে পড়ে গেটো খাচ্ছে না বলে জীবন সংক্ষিপ্ত হচ্ছে৷ সেখানকার মেয়েদের গড় আয়ু যদিও ৮৭ বছর পর্যন্ত নেমেছে, কিন্তু পুরুষের গড় আয়ু ৭৯.৪ বছরে নেমে গেছে৷ মেয়েদের গড় আয়ু জাপানের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখনো খারাপ না হলেও পুরুষদের আয়ু সবচেয়ে খারাপের তালিকায়৷ শিনকিচি তাওয়াদা মনে করেন, আগের মতো খাদ্য তালিকায় ‘গেটো'কে ঠাঁই দিলে সবার আয়ু আবার বাড়বে৷

রীতিমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন শিনকিচি তাওয়াদা৷ বেশ কিছু পোকামাকড়কে গেটো খাইয়ে দেখেছেন পোকাগুলো স্বাভাবিক আয়ুর শতকরা ২২.৬ ভাগ বেশি বাঁচে৷ পোকামাকড়ের জীবনকাল প্রায় এক চতুর্থাংশ বাড়লে মানুষের বাড়বে না কেন?

না বাড়ার কোনো কারণই দেখছেন না শিনকিচি তাওয়াদা৷ হালে জাপানে গেটোর কদর আবার বাড়তে শুরু করেছে৷ প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গেটো৷ সেই প্রসাধনী ব্যবহারের সুবাদে অনেকের বয়সের বলিরেখা ঢাকা পড়ছে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকেও লাগছে অনেক তরুণ৷

এই টুকুতে খুশি নন শিনকিচি তাওয়াদা৷ তাঁর প্রত্যাশা এই গেটো একসময় সারাবিশ্বে রপ্তানি করা হবে৷ গেটো খেয়ে দীর্ঘায়ু লাভ করবে বিশ্বের অনেক মানুষ৷

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য