1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই বছরের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক’: গভর্নর

৩ মে ২০১১

ডিজিটাল বাংলাদেশ৷ বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ৷ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে সরকার৷ এক্ষেত্রে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান বেশ এগিয়ে তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি৷

https://p.dw.com/p/117wp
২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ?ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

শফিকুল ইসলাম৷ বাংলাদেশ ব্যাংক'এ পিয়ন পদে আবেদন করতে চাইছেন৷ সেজন্য তার একটি কম্পিউটার দরকার৷ সেই সঙ্গে দরকার কম্পিউটার জ্ঞান৷ কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন আর কাগজে আবেদন করা যায় না৷ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক' গড়ার ক্ষেত্রে এটি একটি ছোট্ট অগ্রগতি৷ এছাড়া আরও কিছু ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ সামনে হবে আরও অনেক কিছু৷ ফলে আগামী দুই বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংককে পুরোপুরি ‘ডিজিটাল' করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান৷

এখ পর্যন্ত কী হয়েছে?

গভর্নর বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির জন্য এখন আর কাগজে আবেদন করা যায় না৷ যে কোনো পদের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে দরখাস্ত জমা দিতে হয়৷ এছাড়া কাগজে কোনো টেন্ডার দেয়া যায় না৷ কারণ সবই ই-টেন্ডার হয়ে গেছে৷ আমাদের এখানে এখন শুধু চেক'এর ইমেজ বা ছবি আসে৷ পরে অটোমেটিক ক্লিয়ারিং হাউসের মাধ্যমে সেটা ক্লিয়ার হয়ে যায়৷ ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী সহ সব জায়গায় এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে বা যাচ্ছে৷ এছাড়া চালু হয়েছে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থাও৷''

কী কী হচ্ছে?

ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রয়োজেন আরও অনেক কিছুর৷ সেটা জানেনও গভর্নর আতিউর রহমান৷ তাই বললেন, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আগামী মাস থেকে অনলাইনে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো'র রিপোর্ট দেয়ার কাজ শুরু হবে৷ ফলে কোনো লোক ঋণখেলাপি কিনা সেটা ব্যাংকগুলো মিনিটের মধ্যেই জানতে পারবে৷ এখন যেটা জানতে ১৫-২০ দিন লেগে যায়৷ এছাড়া ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্চ প্ল্যানিং) ব্যবস্থা অনেকটা শুরু হয়ে গেছে৷ ফলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ই-প্রোকিউরমেন্ট, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সহ সব পরিবর্তন করা যাচ্ছে বা যাবে৷ চালু হবে ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবস্থা৷ ফলে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে ব্যবসা করা আগের চেয়ে আরও সহজ হবে৷''

গভর্নর আশা করছেন, তাঁর মেয়াদকালের মধ্যেই এসব লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে৷ এর মানে, আগামী দুই বছরের মধ্যেই একটা ডিজটাল বাংলাদেশ ব্যাংক পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তিনি৷ ‘‘আমি নিজে সব তদারক করছি৷ কাজও এগোচ্ছে ভালভাবে৷ তাই আশা করছি যাওয়ার সময় একটা ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক রেখে যেতে পারবো৷''

স্বীকৃতি

এসব কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ সফটওয়্যার নির্মাতাদের সংগঠন ‘বেসিস' কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ‘ডিজিটাল চ্যাম্পিয়ন' পুরস্কার দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক