1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুষ্প্রাপ্য ভারতীয় ফিল্ম পুনরুদ্ধারে সরকারি উদ্যোগ

২৯ জুন ২০১০

যেসব দুষ্প্রাপ্য ভারতীয় ক্লাসিক ফিল্ম অযত্নে, অবহেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারিও বেসরকারি আর্কাইভে, সেই রকম আড়াই হাজার ফিল্মকে নতুন প্রযুক্তিতে ঘষা মাজা করে নবজন্ম দিতে ৬৬০ কোটি টাকার এক বড় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার৷

https://p.dw.com/p/O68b

এর মধ্যে আছে ১৪৫০টি নির্বাক যুগের বিখ্যাত ছবি৷

ভারতীয় চলচ্চিত্র সম্পদের গৌরবকে পুনরুদ্ধার করতে সরকারের এই উদ্যোগ দেরিতে এলেও প্রশংসাযোগ্য৷ পুরোনো আমলের বহু উচ্চাঙ্গের ছবি অযত্নে আর্কাইভে পড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে বা নষ্ট হতে বসেছে৷ স্বাধীনতার সময়কার কিছু তথ্য চিত্র এতে সামিল৷ যার মধ্যে আছে মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু, বল্লভভাই প্যাটেল ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মত শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের ঐতিহাসিক দলিল৷

শুরুতে পুনরুদ্ধারের কাজটা হতো বিদেশে৷ কারণ দেশে এই কাজের বিশেষজ্ঞ তেমন ছিলনা৷২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার এক কোম্পানি ভি.শান্তারামের ‘দো আঁখে বারা হাত' ছবিটি পুনরুদ্ধার করে৷ ডিজিটাল টেকনলজি ভারতে আসার পর থেকে ফিল্ম রেস্টোরেশনের কাজ এখন চলছে জোরেশোরে ভারতেই৷ মুম্বাই-এর ফিল্ম ল্যাব পুনরুদ্ধার করে এন.এস সথ্যুর ‘গরম হাওয়া'৷ গত দুবছরে ফিল্ম ল্যাব পুনরুদ্ধার করেছে দেশ বিদেশের ২০টি ছবি৷

মৃণাল সেনের ‘খন্ডহার' ছবিটির মূল প্রিন্টটি অযত্নে পড়ে থাকায় নানা কাটা ছড়া দাগে ভরে যায়৷ সাউন্ড কোয়ালিটিও অস্পষ্ট৷ জরুরি পুনরুদ্ধারের কাজ হাতে নেয় মিডিয়া ওয়ার্কস৷ তারপর ‘খন্ডহার' ছবিটি পাঠানো হয় কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে৷ ১৮৯৯ সালের নির্বাক যুগের ছবি ‘সরস্বতীচন্দ্র' নবজন্ম পায় মিডিয়া ওয়ার্কসের হাতে৷ ফিল্ম ল্যাবের মুখ্য নির্বাহীর মতে, ভারতে ফিল্ম পুনরুদ্ধারের বাজার বর্তমানে ৯ কোটি টাকার৷ ২০১২সালে তা দাঁড়াবে প্রায় ৪৫ কোটিতে৷ প্রতি ফিল্ম পুনরুদ্ধারের গড় খরচ ৫০ লাখ টাকা৷

এই কাজে পেশাগত দক্ষ লোকের চাহিদা লক্ষ্য করে ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় পুণের ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট , কোলকাতার সত্যজিত রায় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট এবং অন্যান্য সরকারি গণমাধ্যম কলেজগুলিতে ফিল্ম রেস্টোরেশন কোর্স চালু করতে চলেছে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক