1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দৃষ্টি ও অনুভূতির মধ্যে সম্পর্ক কী?

২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নাগরদোলায় চাপলে মাথা ঘোরে, এবড়োখেবড়ো রাস্তায় বেশিক্ষণ ধরে গাড়ি চড়লে মাথা কেমন খালি খালি লাগে৷ মানুষের দৃষ্টি ও অনুভূতির মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে জার্মান বিজ্ঞানীরা কিছু অভিনব পরীক্ষা চালাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/1Hmxg
Bildergalerie Kapstadt: Welt-Design-Hauptstadt 2014
ছবি: DW/J. Jaki

পথেঘাটে নানা রকমের উদ্দীপনা পাওয়া যায়৷ অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা তখন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি৷ মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকাল সাইবারনেটিক্স-এর প্রধান প্রো. হাইনরিশ ব্যুল্টহোফ বলেন, ‘‘গাড়ি চালানো, বিমানে ওড়া, সাইকেল চালানোর সময় আমরা ঠিক কীভাবে অনুভব করি, সেটা জানাই আমার লক্ষ্য৷ তখন মনে হয় আমরা চারিপাশের জগতের মধ্য দিয়ে চলেছি৷ একাধিক ইন্দ্রিয় আমাদের মনে গতির অনুভূতি সৃষ্টি করে৷ আমি জানতে চাই, এগুলি কীভাবে একসঙ্গে কাজ করে৷''

মোশন সিমুলেটর-এ বিজ্ঞানীরা চেনা জগতকে উলটে দেন৷ দৃষ্টি ও ভারসাম্যের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে মস্তিষ্কে উদ্দীপনার প্রক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করাই এর উদ্দেশ্য৷ ভিতরে বসা মানুষটি সোজা রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু ককপিট নাগরদোলার মতো নড়াচড়া করছে৷ প্রো. হাইনরিশ ব্যুল্টহোফ বলেন, ‘‘সিমুলেটর দিয়ে বিভিন্ন ইন্দ্রিয় নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ সবকিছু স্বাভাবিক, সমান তালে চলতে পারে৷ অথবা দৃষ্টি এবং অনুভূতির তথ্য আলাদা করে দেওয়া যায়৷ প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারি, মস্তিষ্ক কীভাবে বিভিন্ন তথ্যের সমন্বয় করে গতি সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো তথ্য পেতে পারে৷''

প্রতিটি নতুন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায়, আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে জগতের ব্যাখ্যা করছে৷ কখনো ভারসাম্য সম্পর্কে আমাদের বোধশক্তি ভুল তথ্য দেয়৷ যেমন কোনো পাইলট যখন বিমান নিয়ে মেঘের মধ্য দিয়ে উড়ে যান৷ এবড়োখেবড়ো রাস্তায় গাড়িতে যাত্রা করলেও বোধশক্তি এলোমেলো হয়ে পড়ে৷ প্রো. ব্যুল্টহোফ বলেন, ‘‘অনুভূতির ইন্দ্রিয়র কিছু দুর্বলতা রয়েছে, এটি একেবারে নিখুঁত নয়৷ তাই কিছু ক্ষেত্রে ভ্রম দেখা দেয়৷ যেমন পাইলট বিমান নিয়ে মেঘের মধ্যে প্রবেশ করলে কিছু বিশেষ ইলিউশন ঘটে৷ তাই আমাদের ভেস্টিবুলার সিস্টেম-এর উপর বেশিক্ষণ ভরসা করা ঠিক নয়৷''

এই চার-দেয়ালের পেছনে এক কৃত্রিম জগৎ রয়েছে৷ বেটি মোলার জানতে চান, উপলব্ধি ও অনুভূতির মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে৷ সাইবার-হেলমেট ও ডেটা-গ্লাভস পরে তিনি নতুন জগতে প্রবেশ করেন৷ ড. মোলার বলেন, ‘‘আমি যা খুশি দেখতে পারি৷ শুধু আঙুল নাড়িয়ে পাহাড়, মহাকাশ, সমুদ্রসৈকত বা রানওয়েতে চলে যেতে পারি৷''

ইন্দ্রিয়ের এমন ভ্রমের মাধ্যমে বিমানের ভিড়েও কি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা সম্ভব? এই সব সাইবার-ফ্লাইটে আসনগুলির মধ্যে দূরত্ব বাড়ানো-কমানো যেতে পারে৷ স্বাচ্ছন্দ বোধের অনুভূতি বাড়িয়ে সেটিকে প্রায় বাস্তব অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করা সম্ভব৷ যেমন সাইবার-ফ্লাইটের যাত্রীরা শুধু আঙুল নাড়িয়ে বিমানের ভেতরের বিন্যাস বদলে দিতে পারেন

এর ফলে শরীরেও নতুন অনুভূতি আসে৷ যাত্রীরা বিনা বাধায় সাইবার বিমানের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারেন৷ ড. বেটি মোলার বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম যে বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মানুষের শরীর সত্যি বদলে দেওয়া যায়৷ তাদের হাত কত বড়, তাদের অবস্থান, তাদের চোখের উচ্চতা – সব বদলে দেওয়া যায়৷ স্পেস সম্পর্কে তাদের ধারণা সেই অনুযায়ী বদলে যেতে পারে৷''

বিচ্ছিন্ন ইন্দ্রিয় হোক, বা ভারচুয়াল রিয়ালিটি – সাইবারনিয়াম-এ যে কাজ হচ্ছে, তা সত্যি অসাধারণ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান