1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেখা দিলেন কাস্ত্রো, সমালোচনা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের

১৩ জুলাই ২০১০

যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা নিয়েই দীর্ঘদিন পর আবার টেলিভিশনে দেখা দিলেন ফিদেল কাস্ত্রো৷ এদিকে তাঁর সাক্ষাৎকারের পরপরই সাতজন রাজবন্দিকে মুক্তি দিয়ে স্পেনে পাঠিয়েছে কিউবা৷

https://p.dw.com/p/OI6d
ফিদেল কাস্ত্রো (ফাইল ছবি)ছবি: AP

২০০৬ সালে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকে কাস্ত্রোর খবর মিললেও তাঁকে দেখা যায় কালেভদ্রে৷ তাও টিভি পর্দায় কিংবা ভিডিওফুটেজে৷ কিউবার কমিউনিস্ট নেতাকে টিভিতে সরাসরি কথা বলতে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিলো ২০০৬ এর ২৬ জুলাই৷ সে হিসাবে চার বছর পর তাঁর দেখা মিললো৷ তবে গত বছরও তাঁর শারীরিক অবস্থার ভিডিওফুটেজ প্রচারিত হয়েছিলো৷

ভাই রাউল কাস্ত্রোকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়ে অনেকটা অবসরেই আছেন ফিদেল৷ তবে দায়িত্বে থাকার সময়ে যেমনি ছিলেন, সোমবারের সাক্ষাৎকারেও তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করলেন তিনি৷ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়া নিয়ে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে৷ আর এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন ফিদেল কাস্ত্রো৷ তিনি বললেন, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার দেশ দুটিকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ কাস্ত্রোর দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজটি উত্তর কোরিয়া নয়, ডুবিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রই৷ ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর মুখোমুখি অবস্থান বিশ্বকে পরমাণু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি৷ ফিদেল বলেছেন, ইরানের ওপর যে কোনো সামরিক অভিযানের পরিণতি শুভ হবে না৷

কিউবার সরকার নিয়ন্ত্রিত টিভির যে অনুষ্ঠানে ফিদেল হাজির হয়েছিলেন, তার নাম ‘মেসা রেদোন্দা', ইংরেজি করলে দাঁড়ায় ‘রাউন্ড টেবিল'৷ এটি সরাসরি সম্প্রচার, না আগে ধারণ করা তা অবশ্য বলা হয়নি৷ এক ঘন্টার ওই অনুষ্ঠানে ৮৩ বছর বয়সি ফিদেলকে বেশ সতেজ দেখাচ্ছিলো৷ কথা বলার সময় রসিকতাও করছিলেন তিনি৷ সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ফিদেলের পরনে ছিলো নীল রঙের জ্যাকেট, তাঁর সামনের টেবিলে ছিলো অনেকগুলো সংবাদপত্র৷ দায়িত্ব ছাড়ার পর মূলত লেখালেখি করেই দিন কাটাচ্ছেন ফিদেল৷ তবে মনে করা হয়, রাউল প্রেসিডেন্ট হলেও কিউবার নিয়ন্ত্রণ এখনো ফিদেলের হাতেই৷

মধ্যপ্রাচ্য এবং কোরিয়া নিয়ে আলোচনা করলেও কিউবার রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি নিয়ে কিছুই বলেননি ফিদেল৷ স্পেন ও ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে এক চুক্তির আওতায় ৫২ জনকে ছেড়ে দিচ্ছে কিউবা সরকার৷ এর মধ্যে সাতজনের একটি দল মঙ্গলবারই মাদ্রিদ পৌঁছেছে৷ ফিদেল ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৩ সালে ভিন্ন মতের এই ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ মুক্তিপ্রাপ্ত নেতা এবং তাঁদের পরিবার স্পেন পৌঁছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ এই ঘটনাটিকে কট্টর অবস্থান থেকে কিউবার সরে আসার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকে৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, এটা তেমন ইঙ্গিত দেয় না৷ তাঁদের আসলে জোর করেই স্পেনে পাঠিয়ে দেওয়া হলো৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন