‘‘মানুষের জন্যই দেশের উন্নয়ন৷ অথচ সেই মানুষকেই মারা হচ্ছে? তাহলে কার জন্য এই উন্নয়ন? বাংলাদেশে তো অনেক ফাঁকা যায়গা আছে, সেখানেই তো এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বানালে হয়৷ পরিবেশের ক্ষতি করে, মানুষ মেরে, এই উন্নয়ন কখনই আমরা চাই না৷ শতভাগই না৷'' এই মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু মোহাম্মদ আলির৷
বিষয়টি নিয়ে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘বাঁশখালির এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি অনিয়ম এবং অস্বচ্ছতায় ভরা৷ এখানে পরিবেশ সমীক্ষা করা হয়নি৷ আর সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য গোপন করে কিছু জমি কেনা হয়েছে, অথচ প্রকৃত দাম দেয়া হয়নি৷ শুধু তাই নয়, এখানে সাত হাজার পরিবার উচ্ছেদ হবে অথচ জেলা প্রশাসন সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বলেছে যে, দেড়শ' পরিবার উচ্ছেদ হবে৷''
অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদের বক্তব্য পড়ে ফেসবুকে জাফরুল জেনির মন্তব্য, ‘‘কে শুনবে আনু ভাইয়ের কথা?''
-
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
সৌরবিপ্লব
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কার্যত বিপ্লব এনেছে গ্রামীণ শক্তি৷ গত বছরের শুরুতে দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়ে তারা৷ ২০১৫ সাল নাগাদ আরো দশ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের রেকর্ড গড়তে চায় তারা৷
-
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
শুরুর কথা
বাংলাদেশে গ্রামীণ শক্তির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সুবিধা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি৷ শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান৷
-
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
৬৪ জেলায় কার্যক্রম
বাংলাদেশে ৬৪ জেলাতেই কাজ করছে গ্রামীণ শক্তি৷ ২০১৩ সালে প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ৫০ হাজার গ্রামে সেবা পৌঁছে দিয়েছে সংস্থাটি৷ গ্রামীণ শক্তির মাধ্যমে পাওয়া সৌর প্যানেল ব্যবহার করে লাভবানের সংখ্যা আট মিলিয়নের বেশি৷
-
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
শুধু গ্রামীণ শক্তি নয়
গ্রামীণ শক্তি ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সৌরশক্তি সেবা প্রদান করছে৷ রয়েছে সরকারি উদ্যোগও৷ সরকারি বিভিন্ন ভবনে সৌরশক্তি ব্যবহারের উদ্যোগও শুরু হয়েছে৷ ঢাকায় পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে গত বছর৷ (ফাইল ফটো)
-
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
জাতীয় গ্রিডের জন্য সৌরশক্তি
সৌরশক্তি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘রহিমআফরোজ রিনিউবেল এনার্জি’৷ প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ঢাকার সচিবালয়ের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়েছে৷ তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ মেগাওয়াট প্রতি নির্দিষ্ট দামে কিনে নেবে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ৷ (ফাইল ফটো)
-
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
সহায়তায় জার্মানি
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াতে সহায়তা করছে জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা জিআইজেড৷ সোলার প্যানেলে মূল্য বেশি হওয়ায় শুরুতে ভর্তুকিও দিয়েছে জিআইজেড৷ তবে কিস্তিতে সোলার প্যানেল কেনার সুবিধা থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সহজেই সেগুলো ব্যবহার করতে পারছে৷ (ফাইল ফটো)
-
বাংলাদেশে সৌরশক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে
লক্ষ্য অর্ধেক জনশক্তি
২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর কাছে সৌরশক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে চান এই খাতের সংশ্লিষ্টরা৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান বাংলাদেশে সৌরশক্তি জনপ্রিয় করার অন্যতম কারিগর দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালি উপজেলায় কয়লাভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা৷ জীবন দিলেও বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেবেন না তাঁরা৷ আর সেরকমই লিখেছেন ফেসবুকে মো. ইসরাফিল৷ তাঁর কথায়, ‘‘উন্নয়ন মানুষের জন্য আর সেই মানুষই যদি হত্যা করা হয়, তাহলে কার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র?''
যেখানে বিদ্যুতের সমস্যা, সেখানে সেই সমস্যা মেটাতে গিয়ে যদি আরো হাজারো সমস্যা এসে ভিড় করে, তাহলে আর সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র করে কী লাভ? ঠিক এ কথাই বলছেন মো.জাহাঙ্গির আলম৷ লিখেছেন, ‘‘মানুষ মেরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রর কোনো দরকার নাই৷''
বন্ধু ছায়া বলেছেন, ‘‘একে তো সারাদিন বিদ্যুৎ নেই, তারওপর এ সব সমস্যা৷''
অন্যদিকে পাঠক রবিউললাহ নিশ্চিত যে ভূমি দালালদের কারণেই বাঁশখালিতে আজ কান্নার রোল পড়েছে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ